যশোরে নারীসহ রেস্ট হাউসে ধরা পড়া সেই ওসি প্রত্যাহার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৭ জুলাই,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৪ পিএম, ৭ জুলাই,সোমবার,২০২৫

ছবি: সংগৃহীত
স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীর সঙ্গে যশোরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) রেস্ট হাউসে ধরা পড়া ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় এক নারীকে নিয়ে যশোর পাউবোর পুরাতন রেস্ট হাউসের কপোতাক্ষ কক্ষে ধরা পড়েন ওসি সাইফুল ইসলাম। এ ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটে এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে ওসি সাইফুল ইসলাম রেস্ট হাউসের একটি কক্ষে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পরই জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি তার লোকজন নিয়ে সেখানে হাজির হন। এরপর রেস্ট হাউসের কক্ষের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে ওসি সাইফুল বাইরে বেরিয়ে আসার চাইলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে টেনেহিঁচড়ে আবার কক্ষের ভেতর নিয়ে যান।
এ সময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে ধস্তাধস্তি ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানতে চাইলে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মনজুর মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ওসি সাইফুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ওসির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে রেস্ট হাউসের কেয়ারটেকার মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওসি সাইফুল নিজে এসে স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে কক্ষ নেন। পরে এলাকার কিছু লোক এসে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে দরজা খুললে ধস্তাধস্তি হয়।’
পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী বলেন, ঝিনাইদহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের চিঠির ভিত্তিতে রেস্ট হাউসে কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খতিয়ে দেখছে বলে জানান তিনি।
ওসি সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, অনৈতিক কোনো কিছু ঘটেনি। তিনি যশোরে ব্যক্তিগত কাজে এসেছিলেন। সেই নারী বন্ধুটিকে নিয়ে রেস্ট হাউসে অবস্থান করছিলেন তিনি। এ সময় কিছু ছাত্রনেতা এসে স্বাভাবিক কথাবার্তা বলে চলে যান। তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসান সনি বলেন, রেস্ট হাউসে অসামাজিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে—স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই।' সেখানে কোনো নারীকে দেখেননি বলে দাবি করেন তিনি। যদিও সিসিটিভি ফুটেজে তাদের উপস্থিতি ও নারীসহ থাকার বিষয়টি স্পষ্ট।