১ ভোটে হেরে মামলা, পুনঃগণনায় ১২০০ ভোটে জয়ী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:২৬ পিএম, ১২ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
ছবি: সংগৃহীত
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১ ভোটে পরাজিত প্রার্থী নুরুল হাসান (বৈদ্যুতিক পাখা) ভোট পুনঃগণনায় জয়লাভ করেছেন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারকের সামনে ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভোট পুনঃগণনা করা হয়।
পুনঃগণনায় ১ ভোটে পরাজিত প্রার্থী নুরুল হাসান ১২৯৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। কিন্তু আগে পাস করেছিলেন আপেল মার্কার প্রার্থী ইসলাম উদ্দিন। তিনি ৫৩৩ ভোট বেশি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার আইনজীবী মো. জসীম উদ্দিন।
পুনঃগণনায় জয়ী নুরুল হাসান বলেন, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বৈদ্যুতিক পাখা মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। এ ওয়ার্ডে আরও ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার ওয়ার্ডে ২টি কেন্দ্র রয়েছে। একটি রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শাহপুর কেন্দ্র। রতনপুর কেন্দ্রের ফলাফল শিটে উপস্থিতি ভোটার সংখ্যা ২৭৩৭। কিন্তু বাতিল দেখানো হয়েছে ৮৫টি। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট ২৬৬২ আর বাতিল ৮৫ মিলে ২৭৪৭ হয়। যা সামঞ্জস্যহীন। এ কেন্দ্রে নির্বাচন কাজে জড়িত কর্মকর্তাদের সঙ্গে অনৈতিক যোগসাজশে আমাকে ১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়।
তিনি আরও বলেন, রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার বরাবর তাৎক্ষণিক ভোট পুনঃগণনার জন্য লিখিত আবেদন করি। পরে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন জানাই। তখন আমি আদালতে মামলা করেছিলাম। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনাল পুনঃগণনা করে রায় দিয়েছেন। সত্যের জয় হয়েছে।
পরাজিত প্রার্থী ইসলাম উদ্দিন জানান, আদালতে ভোট গণনা হয়েছে। বিচারক এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আমাকে এবং নুরুল হাসানকে ডেকে নিয়ে বিচারক বলেছেন, কোনো ধরনের মিছিল করা যাবে না। আইনের মধ্যে থাকতে হবে। দুজনেরই স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি বলেছেন পরে রায় দিবেন। এতে আপিলেরও সুযোগ রয়েছে।
নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম আতাউল মোস্তফা সোহেল জানান, আদালতে ভোট গণনা হয়েছে। আদালতের রায়ই চুড়ান্ত।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।