৯২ টাকার স্যালাইন ২৩০ টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৫৩ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কবির হোসেন ঝিনাইদহের শৈলকুপার চর আউশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সকাল ১০টার দিকে অপারেশনের জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগী রেখে ওষুধ কিনতে এসেছেন ফার্মেসিতে। ওষুধ জরুরি হওয়ায় তখন তিনি দাম মেলাতে পারেননি। পরে দেখেন তাঁর কাছ থেকে ৯২ টাকার আইভি স্যালাইনের জন্য নেওয়া হয়েছে ২৩০ টাকা। এ ঘটনায় দোকান মালিকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন কবির হোসেন। ঘটনাটি উপজেলার পৌর এলাকার কবিরপুরে জোয়ার্দার ফার্মেসিতে।
কবির হোসেন বলেন, তিনি এক স্বজনের অপারেশনের জন্য কবিরপুরে সাহিদা প্রাইভেট হাসপাতালের জোয়ার্দার ফার্মেসিতে ওষুধ কিনতে যান। তাঁর কাছ থেকে ৯২ টাকার স্যালাইন ২৩০ টাকা নেন ব্যবসায়ী। ফার্মেসি মালিক মাহাবুব হোসেন তাঁকে জানান, বেশি দামে বাইরে থেকে তাঁকে স্যালাইন কিনতে হয়েছে। এ ঘটনায় তিনি প্রশাসনের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থ্য নেওয়ার দাবি জানান।
ফার্মেসির মালিক মিলন হোসেনকে পাওয়া না গেলেও তাঁর কর্মচারী মাহাবুব হোসেনের দাবি, হাটফাজিলপুর থেকে বেশি দামে কিনেছেন, এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করেছেন তারা।
উপজেলা ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও শহরের বাবুল ফার্মেসির মালিক বাকীবিল্লাহ বলেন, এক মাস ধরে স্যালাইনের তীব্র সংকট চলছে। এ সংকটকে পুঁজি করে বেশি দামে স্যালাইন বিক্রির সুযোগ নেই। এটা অপরাধ।
অপসো স্যালাইন কোম্পানির শৈলকুপার সিনিয়র প্রোমশন অফিসার আনিচুর রহমান জানান, গত বছরের তুলনায় এবার তাদের কোম্পানি ১৩২ ভাগ স্যালাইন বেশি দিচ্ছে। তারপরও সংকটের কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রাশেদ আল মামুন জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্যালাইনের সংকট নেই। বাইরে স্যালাইন সংকট ও বেশি দামে বিক্রির কথা তিনি শুনেছেন। ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, ক্রেতা উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।