নিজের গাড়ি নিজেই ভাড়া নেন প্রকল্প পরিচালক!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ সেপ্টেম্বর,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৫০ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সরকারি বরাদ্দের গাড়ি ব্যবহার না করে নিজের কেনা গাড়ি নিজেই প্রকল্পের জন্য ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করতেন মৎস্য অধিদপ্তরের এক প্রকল্প পরিচালক। এর মাধ্যমে মাসে অর্ধলাখ টাকা উপরি আয় করতেন তিনি।
সরকারি ওই কর্মকর্তার নাম এস এম আশিকুর রহমান। তিনি মৎস্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের’ পরিচালক।
অভিযোগ রয়েছে, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক আশিকুর রহমান পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করে সরকারি বরাদ্দের গাড়ি ব্যবহার করতেন না। সেটির বদলে তিনি নিসান এক্স-ট্রেল মডেলের একটি গাড়ি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২২-১৪১৬) ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করেন। যেই গাড়ির মালিক তিনি নিজেই। গাড়িটি কেনার পর প্রথমে তিনি একটি রেন্ট এ কার কোম্পানির কাছে ভাড়া দেন। এরপর প্রভাব খাটিয়ে সেই রেন্ট এ কার কোম্পানিকে টেন্ডার পাইয়ে দিয়ে নিজের গাড়ি নিজেরই প্রকল্পের জন্যই ভাড়া নেন পরিচালক। গাড়িটির জন্য প্রতিমাসে রেন্ট এ কার কোম্পানিটিকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতো। যার মধ্যে থেকে ৫০ হাজার টাকা পেতেন এই সরকারি কর্মকর্তা। এর মাধ্যমে গত ৬ মাসে তিন লাখ টাকা উপরি আয় করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পরিচালক আশিকুর রহমান বলেন, সরকারি গাড়িটি পুরোনো হওয়ায় ব্যবহার করা ঝুঁকিপূর্ণ। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে গাড়িটি অন্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, যেহেতু মৎস্য অধিদপ্তর বরাদ্দ বাজেটের মধ্যে ভাড়া নেওয়ার জন্য উপযুক্ত গাড়ির ব্যবস্থা করতে পারেনি। তাই আমি সরল বিশ্বাসে রেন্ট এ কার কোম্পানিকে দিয়েছি। ওই রেন্ট এ কার কোম্পানি থেকে প্রতি মাসে ৫০ হাজার টাকা ভাড়া পান বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এদিকে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অমান্য করে ব্যবসায় সম্পৃক্ত হওয়া ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মৎস্য অধিদপ্তরে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ তদন্ত করতে গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি কমিটিও গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কে এইচ মাহবুবুল হক জানান, তারা ইতোমধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছেন। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।