মাদকদ্রব্য ধ্বংসের সময় ইয়াবা পকেটে সরিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে কর্মকর্তা ধরা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৬ আগস্ট,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:৩৫ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য ধ্বংসের সময় ১,০২২টি ইয়াবা পকেটে লুকানোর অভিযোগে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই কর্মকর্তার নাম মাহমুদুল হাসান (৩০)। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রসিকিউটর হিসেবে কর্মরত।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) তার বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতের উপপরিদর্শক (এসআই) যোবাইদুল হাছান বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বুধবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের দক্ষিণে জেলার বিভিন্ন ইউনিটের জব্দ করা মাদক ধ্বংসের আয়োজন করা হয়। এ সময় মাদকদ্রব্য ধ্বংস কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জালাল উদ্দিন, সদস্যসচিব সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম আফরিন আহাম্মেদ, সদস্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরহাদ রায়হান, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল হাসান ও শাখাওয়াত হোসেন, জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে সহকারী প্রসিকিউটর মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এদিন আদালতের মালখানায় জমা থাকা মাদকদ্রব্যগুলো আদালত চত্বরে আনা হয়। মাহমুদুলের কাছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জব্দ করা মোট আলামত ছিল ১,১৫৮টি ইয়াবা, ৩৮ কেজি ৮৯০ গ্রাম গাঁজা, ১৬ বোতল মদ। মালখানা থেকে মাদকদ্রব্য আনার সময় মাহমুদুল এক প্যাকেট ইয়াবা নিজের পকেটে লুকিয়ে ফেলেন। মাদকদ্রব্য ধ্বংসের পর মাহমুদুলের ডান পকেট ফোলা ও তার গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। একপর্যায়ে তার প্যান্টের ডান পকেট থেকে কালো পলিথিনে মোড়ানো ১,০২২টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় ম্যাজিস্ট্রেটরা তাকে গ্রেপ্তার করে মাদক জব্দ করার নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী যোবাইদুল হাছান বলেন, “পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ১,০২২টি ইয়াবা মাহমুদুলের পকেট থেকে জব্দ করা হয়। এগুলোর ওজন ১০২.০২ গ্রাম। তিনি অবৈধ ও বেআইনিভাবে মাদকদ্রব্য নিজ হেফাজতে রেখে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১)-এর ১০(ক) ধারার অপরাধ করেছেন। তাকে মামলা দিয়ে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে বলেছেন, “মাদকদ্রব্য ধ্বংসের সময় ইয়াবা লুকানোর ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে গতকাল বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”