সাঈদীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করায় পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ আগস্ট,শুক্রবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:২৬ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
সংগৃহীত
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যু নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে শোক প্রকাশ করেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ইন্সপেক্টর খাইরুল ইসলাম। ফলে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে আমর্ড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন) পার্বত্য জেলায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) পুলিশ হেড কোয়ার্টারের নির্দেশে তাকে বদলি করা হয়। খাইরুল আরএমপির প্রসিকিউশন বিভাগে কোর্ট ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন।
গত সোমবার (১৪ আগস্ট) দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ওইদিন রাতেই পুলিশ ইন্সপেক্টর খাইরুল ইসলাম শোক জানিয়ে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। তাতে তিনি লেখেন- কোরআনের পাখি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আলেমে দ্বীন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হুজুর আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে পরলোকে গমন করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আল্লাহ হুজুরকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করুন।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে শোক প্রকাশ, ছাত্রলীগের ১৭ নেতাকর্মী বহিষ্কার
এ বিষয়ে আরএমপির সদর দপ্তরের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, খাইরুলের পোস্টটি নজরে আসার পর আরএমপি কমিশনার বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন সাইবার ক্রাইম ইউনিটকে। তদন্তে সাইবার ইউনিট নিশ্চিত হয়েছেন তারই আইডি থেকে পোস্টটি প্রকাশ করা হয়। ফলে বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরেই প্রতিবেদন দাখিল করে। তিনি এমন পোস্ট দিয়ে অসদাচরণ করেছেন। এতে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। তিনি পুলিশ বিভাগে কর্মরত একজন সরকারি কর্মকর্তা। এ ধরনের পোস্ট শৃংখলা পরিপন্থী ও সরকারবিরোধী। তাই বুধবারই পুলিশ সদর দপ্তরকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়। এরপরই তাকে পুলিশ সদর দপ্তরে থেকে শাস্তিমূলক বদলির আদেশ জারি করা হয়।
আরএমপির কোর্ট ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত এ পুলিশ সদস্য ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। পুলিশ সদস্য খাইরুল ইসলাম জানান, সরল মনে পোস্টটি করেছিলাম। পরে সমালোচনার মুখে পোস্টটি ডিলিটও করে দেই।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) বিজয় বসাক জানান, ফেসবুকে খাইরুলের পোস্ট দেয়ার ঘটনাটি তদন্ত করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এরপরই তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকেই তাকে বদলির নির্দেশ আসে।