avertisements 2

চকরিয়ায় সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র, গুলিতে জামায়াত কর্মী নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ আগস্ট, বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪৫ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের চকরিয়ায় দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ফোরকান ইসলাম নামে জামায়াতের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এঘটনায় পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বায়ততুর শরফ সড়কে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে পুলিশ ও আশপাশের একাধিক গাড়ি ভাংচুর করেছে জামায়াত কর্মীরা।

নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমারজেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা. সৈয়দ ইফতেখারুল ইসলাম।

ডা. ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত ফোরকানকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। নিহতের শরীরে গুলি ও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত আরও ৬ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

৬০ বছর বয়সী ফোরকান পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আবুল ফজলের ছেলে।

সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চকরিয়া, গুলিতে জামায়াত কর্মী নিহত

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজার ঘোষণা দেয় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। বিকেলে জানাজায় অংশ নিতে যাওয়ার সময় জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের গাড়ি দেখে ভাংচুর চালায়। এর পরপরই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়িতে ভাংচুর চালায় তারা।

এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালায়। গুলিতে ছয়জন আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফোরকানুল ইসলাম নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করে। পরে আহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এদিকে যেকোনো নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। মাঠে রয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র চকরিয়া, গুলিতে জামায়াত কর্মী নিহত

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিকেলে গায়েবানা জানাজা শেষ করে তারা মিছিল বের করে। তখন পুলিশের গাড়ি দেখে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ টিয়ার গ্যাস, লাঠিচার্জ করে। এক পর্যায়ে পুলিশের গাড়ি ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহনে ভাংচুর চালায় তারা।’

জামায়াতকর্মী নিহতের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তিনি আসলে কোথায় ছিলেন, তা স্পষ্ট নয় এখনও। পুলিশের কাছে টিয়ারশেল ছিল, গুলি নয়। ফলে এখন তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা তদন্তের বিষয়। ময়নাতদন্তের পরে বিস্তারিত বলা যাবে।’

আহত সাত পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2