avertisements 2

বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া, টিকিয়ে রাখতে স্বামীকে হত্যা!

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৯ আগস্ট, বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:১২ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪

Text


নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তিনজনের সহায়তায় ঘর থেকে বের করে নিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে স্ত্রী রজ্জবের নেছা ওরফে রিনা। 

মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে আদালতে ১৬৪ ধারায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইকবাল হোসাইন তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৬ আগস্ট) রাত ৩টায় উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের হরিণকাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে সেনবাগ থানার পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত মাসুদসহ অন্য তিন আসামির কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।


নিহত ব্যক্তি সেনবাগ উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের হরিণকাটা গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. মঈন উদ্দিন (৪৬)। তিনি ব্যবসায়ী ছিলেন।

  
আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রজ্জবের নেছা জানান, আমার স্বামী চট্টগ্রামে খাবারের হোটেলের ব্যবসা করতেন। মাঝেমধ্যে বাড়িতে আসতেন। এরই মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার বছর আগে আমার সঙ্গে প্রতিবেশী মাসুদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মাসুদ আমার স্বামী মঈন উদ্দিনের বন্ধু ছিল। আমার ও মাসুদের সম্পর্কের বিষয়টি এক পর্যায়ে জানাজানি হয়ে যায়। এ কারণে প্রায় ৯ থেকে ১০ মাস আগে আমার স্বামী রাগের মাথায় মৌখিকভাবে তালাক দেন। পরবর্তী সময়ে সন্তানদের কথা বিবেচনা করে আমাকে আবারও বাবার বাড়ি থেকে ফিরিয়ে আনেন।

তিনি আরও জানান, স্বামীর বাড়িতে ফিরে এলেও মাসুদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আমার স্বামী চট্টগ্রাম থেকে বাড়িতে আসার বিষয়টি মাসুদ ভালোভাবে নিতে পারেননি। এর জেরে মাসুদের পরিকল্পনায় দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে গত রোববার রাতে স্বামীকে খাওয়ানো হয়। দুধ খাওয়ার পর স্বামী ঘুমিয়ে পড়লে আমি ও মাসুদসহ তিন আসামির সহায়তায় মঈনকে রাত ৩টার দিকে ঘর থেকে বের করে ঘরের দরজায় নিয়ে আসি। তখন মাসুদ আমার স্বামীর মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে অচেতন অবস্থায় রেখে যান। এরপর পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চিৎকার-চেঁচামেচি করে বাড়ির লোকজনকে জড়ো করি। তখন বলি কে বা কারা আমার স্বামীকে খুন করে ফেলে গেছে।


সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে আদালতে রজ্জবের নেছা স্বামীকে হত্যার পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছে। ব্যবসায়ী মঈন উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার ও ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পারিপার্শ্বিক বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে স্ত্রী রজ্জবের নেছার বিষয়ে সন্দেহ হয়। এ কারণে মরদেহ উদ্ধার করে আনার সময় রজ্জবের নেছাকেও সঙ্গে করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে খোঁজখবর নিয়ে স্ত্রী রজ্জবের নেছার সঙ্গে মাসুদ নামের এক প্রতিবেশীর পরকীয়া সম্পর্কের বিষয়টি জানা যায়। যার ভিত্তিতে সোমবার (৭ আগস্ট) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রজ্জবের নেছা স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2