রাতে কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন ৩২ শিক্ষার্থী
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৭:১৭ পিএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
গতকাল বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জে টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটের ২৪ শিক্ষার্থীসহ ৩২ জন জামিন পান।এর ৫ ঘণ্টা পর রাত ১০ দিকে কারাগার থেকে একে একে বেরিয়ে আসেন ৩২ শিক্ষার্থী। তখন কারাগারের সামনে শিক্ষার্থীদের স্বজন ও সহপাঠিরা উপস্থিত ছিলেন। তবে এসব কোনো শিক্ষার্থী সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি। মুক্তি আগেই তাদের জন্য একটি বাস আনে রাখা হয়। মুক্তি পর পর তারা সেই বাসে করে ঢাকার দিকে রওয়ানা দেন।
জানা যায়, বুধবার (২ আগস্ট) রাত ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্তি পান। এর আগে বুধবার দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ফারহান সাদিকের আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। গ্রেপ্তারকৃত আরও দুজন অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তাদের জামিন আবেদন শিশু আদালতে আজ বৃহস্পতিবার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বুয়েটের শিক্ষার্থী ফাহিমের মামা মনোয়ার হোসেন জামিন পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের সন্তানদের জামিন হয়েছে এতে আমরা খুশি। আমরা চাই, উক্ত মামলা থেকে আমাদের নিরীহ-নিরপরাধ সন্তানদের যেন দ্রুত রেহাই দেওয়া হয়। বুয়েটের অপর শিক্ষার্থী আব্দুল বাবির বাবা মোহাম্মদ মতিউর রহমান বলেন, জামিনে মুক্তির আদেশে আমরা আদালতের প্রতি সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেরা হাওরে এসেছিল ঘুরতে। এখানে তারা কোনো অপরাধ করেনি। আমরা আশা করি, আদালত এ মামলা থেকে দ্রুত আমাদের সন্তানদের অব্যাহতি দেবেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা বাজারের নৌকাঘাট থেকে রোববার সকালে একটি নৌকা নিয়ে বুয়েটের ২৪ জনসহ মোট ৩২ শিক্ষার্থী ঘুরতে যান টাঙ্গুয়ার হাওরে। বেড়ানোর একপর্যায়ে দুপুরের দিকে পাটলাই নদী দিয়ে ট্যাকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাওয়ার পথে নতুন বাজারের সামনে নৌকাটি আটক করে পুলিশের দুটি স্পিডবোট। এসব শিক্ষার্থীসহ ৩৪ জনকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে সোমবার তাহিরপুর থানার এসআই মো. রাশেদুল কবির বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করেন।
বুয়েটের ওই শিক্ষার্থীরা জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত এবং গোপনে মিটিং করতেই টাঙ্গুয়ার হাওরে এসেছিলেন বলে অভিযোগ করেছে পুলিশ।