মর্জিনার খুনি মা, লাশ গুম করে নিজেরই ছেলে!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ জুলাই,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪১ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মর্জিনা খাতুন নামের এক নারীকে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক মর্জিনার মা রওশন আরা মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে পুলিশের কাছে। তার দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কোদাল জব্দ করেছে পুলিশ। উপজেলা সদরের চান্দারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
রবিবার সকালে মর্জিনার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে চান্দারপাড়া গ্রামে মায়ের ঘরের মেঝের প্রায় ছয় ফুট মাটির নিচ থেকে মর্জিনার লাশ উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয় পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ধুনট পৌরসভার মেয়র এ জি এম বাদশাহ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলা ও থানা পুলিশ জানায়, নিহত মর্জিনা চান্দারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে।
মর্জিনার একাধিক বিয়ে হলেও সবার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়। এর পর থেকে মর্জিনা মা রওশন আরা, ছেলে রাব্বি ইসলাম ও ছেলে বউ নুপুর খাতুনের সঙ্গে থাকতেন। সংসারে অভাবের অজুহাত দিয়ে মর্জিনাকে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে বাধ্য করার চেষ্টা করতেন পরিবারের সদস্যরা। মর্জিনা রাজি না হওয়া পরিবারে বিবাদ ছিল।
৩০ জুন রাতে মর্জিনাকে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেন মা রওশন আরা। তার সহযোগিতায় ছিলেন রাব্বি ও নুপুর। হত্যার পর ঘরের মেঝেতে প্রায় ৬ ফুট গর্ত করে মর্জিনার ছেলে রাব্বি। এরপর ওই গর্তে মর্জিনার লাশ মাটি চাপা দিয়ে রাখে তারা। পরদিন ঘরে তালা লাগিয়ে বাড়ি ছেড়ে লাপাত্তা হয়ে যায় রওশন আরা, রাব্বি ও নুপুর।
ওই ঘর থেকে দূর্গন্ধ বের হলে ২০ জুলাই স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। থানা পুলিশ তদন্তের স্বার্থে ২২ জুলাই রওশন আরাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় রওশন আরার দেওয়া তথ্যমতে ঘরের মেঝের মাটির নিচ থেকে মর্জিনার লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে নিহত মর্জিনার ছেলে রাব্বি ও ছেলে বউ পলাতক রয়েছে।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম বলেন, মর্জিনাকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার মা রওশন আরা। তার দেওয়া তথ্যমতে মর্জিনার লাশ উদ্ধার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি কোদাল জব্দ করা হয়েছে। এ মামলায় রওশন আরাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রের্কড করার জন্য বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে।