avertisements 2

বাগেরহাটে পাওনাদারদের চাপে বাবার লাশ ফেলে পালালো সন্তানরা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ জুলাই,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪৯ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪

Text

ছবি: সংগৃহীত

বাগেরহাটের শরণখোলায় পাওনাদারদের চাপে অবসরপ্রাপ্ত এক শিক্ষক বাবার লাশ ফেলে পালিয়েছেন সন্তানরা।

বুধবার (১২ জুলাই) উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের আব্দুল আজিজ মৃধা তাফালবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে অবসর নেন। তার দুই স্ত্রী। প্রথম স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) বিকেলে পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে মারা যান আজিজ মৃধা (৭০)। বুধবার সকাল ১০টায় জানাজা শেষে লাশ দাফনের প্রস্ততি চলছিল। এ সময় পাওনাদাররা এসে ভিড় করলে লাশ ফেলে পালিয়ে যান সন্তানরা। এভাবে লাশ মসজিদের পাশে পড়ে ছিল পাঁচ ঘণ্টা। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিবারের লোকদের খুঁজে এনে দুপুর আড়াইটার দিকে জানাজা সম্পন্ন করা হয়।

নিহতের প্রথম সংসারের বড় ছেলে মতিয়ার রহমান বলেন, “দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানদের চাপে বাবা আমাদের কোনো খোঁজ নিতেন না। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর কৌশলে তার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে টাকা আত্মসাত করে দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানরা। কিন্তু বাবার কোনো দেনা শোধ করেনি তারা।”

মতিয়ার আরও বলেন, “জানাজার সময় পাঁচজন পাওনাদার এসে টাকা দাবি করলে দ্বিতীয় ঘরের সন্তানরা বাবার লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। এরপর বেওয়ারিশ হিসেবে লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন স্থানীয়রা। এ জন্য উপজেলার মালিয়া আল-ফালাহ মাদরাসার কবরস্থানে তার কবর প্রস্তুত করা হয়েছিল। পরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান পারভেজের মধ্যস্থতায় পাওনাদারদের ঋণ পরিশোধে আশ্বস্ত করার পর জানাজা সম্পন্ন হয়। বাবার লাশ আমাদের গ্রামের বাড়িতে দাফনের ব্যবস্থা করি।”

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. হাসানুজ্জামান পারভেজ বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুযায়ী পরিবারের লোক ও পাওনাদারদের সঙ্গে আলোচনা করে জানাজা শেষে আজিজ মাস্টারের প্রথম সংসারের বড় ছেলে মতিয়ার রহমানের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। দ্বিতীয় স্ত্রী-সন্তানদের কাছ থেকে আত্মসাতকৃত জমি ও অর্থ উদ্ধার করে ঋণ পরিশোধ করা হবে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সমাধান করে লাশের জানাজা ও দাফনের জন্য বলা হয়। পাওনাদাররা যাতে তাদের টাকা পেতে পারেন সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2