avertisements 2

১৫ লাখেও মেলেনি পদ, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ফেরত চাইলেন টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১২ জুলাই, বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:৩৬ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২৪

Text

ফেসবুক পোস্টের স্ক্রিন শট ছবি: সংগৃহীত 

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৫ লাখ টাকা নিয়েও ছাত্রলীগের পদ দেওয়া হয়নি। সেই টাকা ফেরত চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের (পুরনো কমিটি) সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদার। মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনে নতুন কমিটি ঘোষণার পর গত সোমবার রাতেই তা স্থগিত করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

জানা গেছে, গত সোমবার রাতে কলাপাড়া উপজেলা, কলাপাড়া পৌরসভা ও কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করে জেলা ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তারবীর হাসান আরিফ ওই কমিটি ঘোষণা করেন। এর আগে নতুন কমিটিতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদারকে সভাপতি করার প্রলোভন দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা নেন জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম। কিন্তু তাঁকে নতুন কমিটিতে রাখাই হয়নি। জেলা ছাত্রলীগ কলাপাড়া উপজেলার তিনটি ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করার পরপরই আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জানতে পারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
ওই রাতেই ঘোষিত তিন কমিটিকে স্থগিত ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে নতুন কমিটিতে না রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগ নেতা আশিক তালুকদার তাঁর ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যে টাকাগুলো নিয়েছেন তা ফেরত দেন। তা না হলে গণভবনে যাব বাকি ডকুমেন্ট নিয়ে।’

এদিকে কমিটি ঘোষণার পর আশিক তালুকদার তাঁর মোবাইলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতির কাছে টাকা ফেরত চেয়েছেন—এর একটি অডিও রেকর্ডও পাওয়া গেছে।
তাতে আশিক তালুকদার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুলকে বলেন ‘ভাই, আপনার সাইনে পাওয়ার আছে, আপনি কমিটি দিয়েছেন। এখন আমার টাকাগুলো ফেরত দেন।’ ওপাশ থেকে সাইফুল বলেন, ‘ফোন রাখ, তুই ফোন রাখ।’

কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিক তালুকদার বলেন, ‘আমি ক্যান্ডিডেট হতে চাইনি। এর পরও জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম আমাকে সভাপতির ক্যান্ডিডেট হতে বলেন।
বিভিন্ন সময় তিনি বিভিন্ন অজুহাতে ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা করেও নিয়েছেন। ধাপে ধাপে আমার কাছ থেকে প্রচুর টাকা নিয়েছেন। তাঁর এক খালাতো ভাইয়ের মাধ্যমেও টাকা নিয়েছেন।’

আশিক অভিযোগ করে আরো বলেন, ফেসবুকে টাকার ছবিসহ স্ট্যাটাস দেওয়ার পর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহানুর রহমান সুজন ওই স্ট্যাটাস ডিলেট করতে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন। ওই হুমকির রেকর্ডও সংরক্ষিত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি ফোন ধরেননি। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।

কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে টাকার প্রতিযোগিতা গেছে গত দুই দিন। পদ পাওয়ার জন্য কেউ জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছে। কেউ মা-বোনের সোনা বন্ধক রেখে টাকা দিয়েছে। এগুলো এখন সবার মুখে মুখে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিজের কাছেও লজ্জা লাগে।’
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2