যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেপ্তার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৪ জুন,শনিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
অর্থপাচার মামলার আসামি ও প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২১ জুন মধ্যরাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় তাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে থাকা অর্থ পাচারের মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে তুলে দেয় ইমিগ্রেশন পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইনান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে পালানোর সময় আবুল কাশেমকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করলে তাকে আমরা রিমান্ড আবেদন করে বৃহস্পতিবার আদালতে তুলি। পরে আদালত ২৫ জুন শুনানির তারিখ রাখেন এবং সেই সঙ্গে আবুল কাশেমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সিআইডিতে আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে থাকা মামলার সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার অর্থ পাচারের এক মামলায় আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর আলম শিকদারসহ চারজনের বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেন। চার আসামির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কাশেম একজন।
আরও জানা যায়, দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া মামলার অপর দুই আসামি হলেন আলেশা মার্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মঞ্জুর আলমের স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরী এবং আলেশা মার্টকে মোটরসাইকেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এস কে ট্রেডার্সের মালিক মো. আল মামুন। গত বুধবার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই চারজনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। পাশাপাশি তাদের সম্পত্তি অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রস্তাবিত পিপলস ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালকের পদ পাওয়ার জন্য এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগের উদ্দেশ্যে হাজারো গ্রাহকের কাছ থেকে নেয়া ১০০ কোটি টাকা মঞ্জুর আলম ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবুল কাশেমকে দিয়েছিলেন।
আবুল কাশেম গ্রেপ্তার হলেও অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছেন বলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা জানিয়েছেন।