ডিবি পুলিশের অভিযান
বিশ্বখ্যাত নামি দামি ব্র্যান্ডের প্রসাধনী তৈরি হচ্ছিল চট্টগ্রামের এক বাসায়!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২২ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:৪৫ এএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
নামীদামি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল প্রসাধনী উদ্ধার করে পুলিশ - ছবি: সংগৃহীত
প্রসাধনীর একটি বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড লরিয়েল। এই ব্র্যান্ডের পণ্যের উৎপাদক ফ্রান্সের লরিয়েল গ্রুপ। এই প্রতিষ্ঠানের শ্যাম্পু তৈরি হচ্ছিল চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকার একটি বাসায়। দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নকল। লরিয়েল ব্র্যান্ডের শত শত বোতল শ্যাম্পু উদ্ধার করা হয়েছে এ বাসা থেকে। শুধু লরিয়েল নয়, ভ্যাসলিন, ডাভ, নিভিয়া, ট্রেসেমে, হেড অ্যান্ড শোল্ডার, ফগ, প্যানটিনের মতো বিখ্যাত সব ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু, বডি ওয়াশ, ফেসওয়াশ, লোশন, সুগন্ধি, শেভিং ক্রিম, বডি স্প্রে তৈরি হচ্ছিল এ বাসায়।
বুধবার রাতে ডবলমুরিং থানার ধনিয়ালাপাড়া ছোট মসজিদ বাইলেইন রোডের বাসাটিতে অভিযান চালায় চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সেখান থেকে নকল প্রসাধনী পণ্য উদ্ধারের পাশাপাশি এতে জড়িত থাকার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন‒ কুমিল্লার তিতাস থানার খলিলাবাদ গ্রামের মো. জালাল (৫৫) ও তার ছেলে মো. আল আমিন (২৮)।
বৃহস্পতিবার ডিবি কার্যালয়ে পুলিশের উপস্থিতিতে মো. জালাল সমকালকে জানান, ঢাকায় লালু নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে নকল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরির কাজ শিখেছেন তিনি। বিভিন্ন ভাঙারির দোকান থেকে প্রসাধনী সামগ্রীর বোতলগুলো সংগ্রহ করেন। এছাড়া বিভিন্ন দোকান থেকেও মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রীর বোতল কিনে নেন। এরপর বিভিন্ন উপাদান দিয়ে শ্যাম্পু, বডি লোশন, ফেসওয়াশসহ বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি করেন। পরে প্লাস্টিক দিয়ে প্যাকিং করে বাজারে ছাড়েন।
তিনি জানান, ফুটপাতের বিক্রেতারা তাদের কাছ থেকে কিনে নিয়ে যান। প্রতিটি প্রসাধনী সামগ্রী তৈরিতে তার খরচ পড়ে ৩৫ থেকে ৫০ টাকা। সেগুলো একশ' টাকায় ফুটপাতের বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করতেন। তবে নামীদামি সুপারশপ বা দোকানে এসব পণ্য বিক্রি করার কথা স্বীকার করেননি তিনি।
নগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ কমিশনার নিহাদ আদনান তাইয়ান সমকালকে বলেন, ‘ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবকে সামনে রেখে প্যাকেজের মাধ্যমে নকল এসব প্রসাধনী সামগ্রী ফুটপাতসহ ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা বিক্রি করেন। লোকজন কমদামে পেয়ে নামীদামি ব্র্যান্ডের এসব পণ্য কিনে নিয়ে ঠকছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নকল প্রসাধনী তৈরির একটি কারখানা থেকে বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী পণ্য উদ্ধার করা হয়েছে। এসব পণ্য ফুটপাতের পাশাপাশি আর কারা কারা কিনে নিয়ে যান তা তদন্ত করে দেখা হবে। নানা ক্ষতিকর উপাদান ও দাহ্য পদার্থ দিয়ে এসব পণ্য তৈরি করা হচ্ছিল। এসব পণ্য ব্যবহারে ত্বকের ক্ষতির পাশাপাশি নানা রোগব্যাধিও ছড়াতে পারে। গ্রেপ্তার দুইজনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’