avertisements 2

নিষ্ক্রিয় হলো আমের বস্তায় অধ্যক্ষের ঠিকানায় আসা বোমাটি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুন,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০২:৫৩ এএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

নাটোরের গুরুদাসপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল ও আইসিটি ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের দরজার সামনে রাখা আম লেখা বক্সে থাকা বোমাটি নিষ্ক্রিয় করেছে ঢাকার কাউন্টার টেররিজম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

শনিবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে কাউন্টার টেররিজম ও বোম ডিসপোজাল ইউনিটের ইন্সপেক্টর শফিউদ্দিন শেখের নেতৃত্বে ইউনিটের সদস্যরা বোমসহ পার্সেলটি অধ্যক্ষের দরজার সামনে থেকে ক্যাম্পাসের ফাঁকা স্থানে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শনিবার সকালে গুরুদাসপুরে সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের অফিস কক্ষের দরজার সামনে গায়ে আম লেখা একটি প্লাস্টিকের বস্তা দেখা যায়। বস্তার ওপরে লেখা ‘প্রিন্সিপাল বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর-আম্রপালি ৩০ কেজি’। বস্তাটি দেখে অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানের সন্দেহ হয়। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। পুলিশ রাজশাহী র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে জানালে তারা এসে দুপুর ৩টার দিকে বস্তাটি পরীক্ষা করেন। এ সময় র‍্যাবের দলটি বস্তায় বিস্ফোরক দ্রব্যের মতো বস্তু থাকার কথা জানান। বিস্ফোরকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় র‍্যাবের দলটি তা নিষ্ক্রিয় করতে পারেনি। ফলে ঢাকায় র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলকে জানানো হয়। পরে ঢাকা থেকে আসা র‍্যাবের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল এসে দীর্ঘ চেষ্টায় রাতে তা নিষ্ক্রিয় করেন।

কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান সাইদ বলেন, শনিবার সকালে প্রাতিষ্ঠানিক কাজে কলেজে গিয়ে অফিস কক্ষের সামনে সাদা রঙের একটি বস্তা দেখতে পান। সেখানে লেখা ছিল, ‘গুরুদাসপুর- আম্রপালি ৩০ কেজি। প্রাপক প্রিন্সিপাল, বঙ্গবন্ধু কলেজ, গুরুদাসপুর, নাটোর’ এবং নিচে মোবাইল নম্বর লেখা।’ বস্তাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ-র‍্যাবের সদস্যরা এসে দিনভর উদ্ধারে চেষ্টা করেন। পরে তারা রাতে বোমা নিষ্ক্রিয় করেন।

টিম লিডার শফিউদ্দিন জানান, পার্সেলের ভেতরে হাতে তৈরি ছোট আকারের বোমা ছিল। বোমাটির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোনোয়ারুজ্জামান বলেন, ঢাকায় নিয়ে আলামত পরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে এটি কী ধরনের বোমা ছিল।

এর আগে শনিবার সকালে কলেজে গিয়ে নিজ দপ্তরের দরজায় তার নামে পাঠানো আম হিসাবে লেখা একটি বড় আকারের পার্সেল প্যাকেট দেখতে পান ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান। পরে তিনি বিষয়টি পুলিশকে জানান। দিনভর প্রতিষ্ঠানটি ঘিরে রাখে র‍্যাব ও পুলিশ সদস্যরা। পরে রাত সোয়া ১টার দিকে বোমাসহ পার্সেলটি অধ্যক্ষের দরজার সামনে থেকে ক্যাম্পাসের ফাঁকা স্থানে নিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2