সাংবাদিক নাদিমকে ‘উচিৎ শিক্ষা’ দিতে চেয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান: র্যাব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুন,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৫৩ এএম, ২৩ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২৪
পঞ্চগড়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর (মাঝে) সঙ্গে গ্রেপ্তার অন্য দুজন।
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমকে মামলা করেও আটকাতে না পেরে তাকে শায়েস্তা করতে হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন জামালপুরের ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু; আর সেই হামলায়ও পেছন থেকে দিয়েছিলেন নেতৃত্ব।
জামালপুরের বকশীগঞ্জের এই জনপ্রতিনিধিকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকায় এনে সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় বাবুর এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তার গ্রেপ্তার আরও তিনজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব। তারা হলেন- মনিরুজ্জামান মনির (৩৫), জাকিরুল ইসলাম (৩১) ও রেজাউল করিম (২৬)।
সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এনিয়ে ১৩ জন গ্রেপ্তার হলেন। নয়জনকে জামালপুর পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতেও পেয়েছে পুলিশ।
বাংলানিউজ এবং একাত্তর টিভির বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি নাদিমকে গত বুধবার রাতে উপজেলার পাটহাটি মোড়ে বেদম পেটান হয়। পরদিন হাসপাতালে তিনি মারা যান।
এই হামলায় সাধুরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু জড়িত বলে তখনই অভিযোগ তুলেছিলেন নাদিমের পরিবার ও সহকর্মী সাংবাদিকরা।
তবে পুলিশ জামালপুর থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাবু গিয়েছিলেন পালিয়ে। তিনি ভারতে পালানোর পথে শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ধরা পড়েন বলে র্যাব জানিয়েছে।