avertisements 2

ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া হলো না সাংবাদিক নাদিমের মেয়ের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুন,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৯:৪৯ এএম, ২৬ এপ্রিল,শুক্রবার,২০২৪

Text

‘মেয়েকে অনার্স ভর্তি পরীক্ষা দেওয়াতে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল আমার স্বামীর। তার আর যাওয়া হলো না। মেয়ের আর ভর্তি পরীক্ষা দেওয়া হলো না।’ শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে আহাজারি করতে করতে এসব কথা বলছিলেন সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম। 

মনিরা বলেন, ‘আমার স্বামীর ইচ্ছা ছিল মেয়েকে অর্থনীতি বিভাগে অনার্সে পড়াবেন। এই ভর্তির জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সাত কলেজের আজ ছিল ভর্তি পরীক্ষা। এর আগে বুধবার (১৪ জুন) দুপুরে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে মেয়েকে নিয়ে ইসলামী স্টাডিজ বিভাগে অনার্সে ভর্তি করে এসেছিলেন। এরপর রাতেই তার উপর হামলা হয়। আমার মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হলো না। বাবার অনুপস্থিতিতে এখন আমার মেয়েকে কীভাবে লেখাপড়া করাবো এই চিন্তা মাথা থেকে দূর হচ্ছে না।’

সাংবাদিক নাদিম হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান মনিরা। সাংবাদিক নাদিমের শ্বশুর বীর মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, নাদিম আর মনিরার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। বড় ছেলে রিফাত বকশীগঞ্জ কলেজে ডিগ্রিতে লেখাপড়া করছেন। ছোট ছেলে পাপ্পু কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে ওয়ানে লেখাপড়া করে। কন্যা রাব্বিলা ২০২২ সালে এইচএসসি পাস করেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্সে ভর্তির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ‘এখন এই অসহায় পরিবারটি কীভাবে চলবে আর আমার মেয়ে মনিরা কীভাবে ছেলেমেয়েদের মানুষ করবে এটাই ভাবনা।’ নাদিমের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য সরকারের কাছে সহযোগিতা দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, সংবাদ প্রকাশের জেরে বুধবার জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা সাদুর পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান বাবু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে হামলা শিকার হন সাংবাদিক নাদিম। গুরুতর আহত নাদিমকে প্রথমে জামালপুর হাসপাতালে পড়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকালে(১৫ জুন) তার মৃত্যু হয়।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2