avertisements 2

মাদারীপুরের ইউপি সদস্য থাকেন সৌদি আরবে

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৮ জুন,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:৫৮ এএম, ১৬ ফেব্রুয়ারী,শুক্রবার,২০২৪

Text

‘ইউনিয়ন পরিষদ আইন-২০০৯’ অনুযায়ী, কোনও ইউপি সদস্য পরপর তিনটি কার্যকরী বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে তার সদস্য পদ বাতিল হবে এবং সুনির্দিষ্ট কারণে বছরে ছুটি নিতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ মাস। বিদেশ যেতে হলেও কর্তৃপক্ষে অনুমতি নিতে হবে। তবে এসব নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ সময় প্রবাসে জীবনযাপন করছেন মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের এক ইউপি সদস্য। এলাকাবাসী বলছেন, জনপ্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকায় কোনও প্রকার সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না তারা।

জানা গেছে, ২০২১ সালে মস্তফাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ৩নং ওয়ার্ড সদস্য নির্বাচিত হন জিয়া হাওলাদার। নির্বাচিত হওয়ার পরই চলে যান সৌদি আরবে। তবে মাঝে-মধ্যে দেশে আসেন তিনি। সেখানে তার ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে বলেও স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে।

অনুমতি ছাড়াই এই জনপ্রতিনিধি দিনের পর দিন বিদেশে অবস্থান করলেও কর্তৃপক্ষ কোনও ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খানের যোগসাজশে নিয়মিত বেতন-ভাতা উত্তোলন করে যাচ্ছেন এই ইউপি সদস্য। সম্প্রতি এই ইউপি সদস্যের সন্ধানে তার বাড়িতে গেলে তাকে কিংবা তার কোনও স্বজনকে কথা বলার জন্য পাওয়া যায়নি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জিয়া হাওলাদার নির্বাচনের আগে থেকেই ছিলেন সৌদি আরব প্রবাসী। নির্বাচিত হওয়ার পর আবারও চলে যান সৌদি আরবে, মাঝে মধ্যে দেশে আসেন। বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিব জানলেও তারা গোপন রাখেন। এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে আলাপ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান বলেন, জিয়া মেম্বার বর্তমানে বিদেশ আছেন। ইউপি সদস্য স্থানীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ভুলে দরখাস্ত ইউপি সচিবের কাছে রেখে গেছেন। ডিডিএলজির কাছ থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি।’

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদ হতে ওয়ার্ডে বরাদ্দকৃত সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা যেমন ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতাসহ উন্নয়নমূলক সকল সুবিধা পেতে তাদের বিড়ম্বনা পোহাতে হয়।’

মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাইনুদ্দিন বলেন, ‘কোনও ইউপি সদস্য অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ করতে পারবে না, যদি বিদেশ গিয়ে থাকে তাহলে সে আইন বহির্ভূত কাজ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক নজরুল হোসেন বলেন, ‘ওয়ার্ড মেম্বার যেহেতু সম্মানীভুক্ত এবং শপথধারী; সুতরাং সরকারের অনুমতি ছাড়া বিদেশে যেতে এবং অবস্থান করতে পারবেন না। মেম্বারের কর্তব্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে বিদেশে যাওয়া, ব্যতিরেকে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2