ঢাবি শিক্ষার্থী বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে অপহরণ, ৯৯৯ কলে উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ জুন,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০১:২৫ পিএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
রাজধানীর মালিবাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে অপহরণ তাকে আটকে রেখে মারধর করা হয়। এবং তোলা হয় আপত্তিকর ছবি। পাশাপাশি পরিচিতিদের মেসেঞ্জারে চাওয়া হয় টাকা। জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ এমন অভিযোগ পেয়ে তথ্য-প্রযুক্তির সহয়তায় ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ জুন) বিকালে ৯৯৯-এর পরিদর্শক (মিডিয়া আ্যন্ড পাবলিক রিলেশন্স অফিসার) আনোয়ার সাত্তার এসব তথ্য জানান।
এ সময় অপহরণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজনকে। গ্রেপ্তাররা হলেন দীন ইসলাম (২৭) ও সাইফুল ইসলাম অপূর্ব (২৮)।
৯৯৯-এর পরিদর্শক অফিসার আনোয়ার সাত্তার বলেন, বুধবার (আজ) সকাল পৌনে দশটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় ৭১ হল থেকে ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করে জানান, তার হলের জুনিয়র শিক্ষার্থী ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্র বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে মঙ্গলবার রাতে মালিবাগ যায়। ভোররাতের দিকে তারা জানতে পারেন, ওই শিক্ষার্থীকে আটকে রাখা হয়েছে। তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে তার মেসেঞ্জার আ্যকাউন্ট ব্যবহার করে পরিচিতজনদের কাছে থেকে টাকা চাওয়া হচ্ছে।
মেসেঞ্জারের মাধ্যমে আটক শিক্ষার্থী জানাচ্ছিল তাকে খুব মারধর করা হয়েছে এবং আপত্তিকর ছবি তোলা হয়েছে। এক লাখ টাকা না পেলে তাকে ছাড়া হবে না।
৯৯৯ কলটেকার কনষ্টেবল সায়েমউদ্দীন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনষ্টেবল সায়েম তাৎক্ষণিকভাবে খিলগাঁও থানায় বিষয়টি জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানায়। ৯৯৯ ডিসপাচার এসআই জয়ন্ত ঘরামী সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ এবং কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ গোড়ানের একটি বাসায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অবস্থান শনাক্ত করে খিলগাঁও থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে অপহরণ ও ব্ল্যাকমেইলিংয়ের শিকার শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এ ছাড়া অপহরণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।