avertisements 2

৩০ সেকেন্ডে চুরি করে চক্রটি, মোটরসাইকেল যায় হবিগঞ্জ

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৫ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৩:৫০ পিএম, ১২ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৪

Text

উদ্ধার হওয়া মোটরসাইকেল। ছবি: সংগৃহীত 

টার্গেট করার পর একটি মোটরসাইকেলের লক ভেঙে চুরি করে পালাতে সময় লাগে মাত্র ৩০ সেকেন্ড। চোরাই মোটরসাইকেল দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় সিলেটের হবিগঞ্জে।

একটি মোটরসাইকেল চুরির মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এমন এক চক্রের সন্ধান পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। চোর চক্রের অন্যতম মো.জাকারিয়া হোসেন হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে বিভিন্ন মডেলের ১২টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি জানান, এই চক্রটি মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ডে শপিংমলের সামনে থেকে চুরি করে নিয়ে যায়। এই চুরি করতে তারা একটি মাস্টার চাবি ব্যবহার করে। এই চাবিটি ব্যবহার করে মাত্র ২৫-৩০ সেকেন্ডে মোটরসাইকেলের ঘাড় লক ভেঙ্গে মোটরসাইকেল চালু করে নিয়ে পালিয়ে যায়। জাকারিয়া ছাড়া চক্রে আরও বেশ কয়েকজন সদস্য রয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মোহাম্মদ হারুন আর রশীদ বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন সময় শপিংমলের সামনে থেকে মোটরসাইকেল চুরি হয়। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে মামলা হয় না। তবে যমুনা শপিংমলের সামনে থেকে কালো রংয়ের বাজাজ মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়ার পর মালিক মামলা করেন। মামলাটি হওয়ার পর আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। ওই মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের জন্য আমরা বন্ধু মটরসের গ্যারেজে অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানের সময় গ্যারেজের মালিক মোহন পালিয়ে যায়। তবে অভিযানে এই চোর চক্রের মূলহোতা জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরসহ গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ আশপাশের এলাকায় যত মোটরসাইকেল চুরি হয় এর সঙ্গে এই চক্রটি জড়িত। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সুমন এই চক্রের রেকি সদস্য। সে বিভিন্ন শপিংমলের সামনে গিয়ে মোটরসাইকেল রেকি করে। মালিক মোটরসাইকেল রেখে শপিংমলের ভিতরে যাওয়ার পর অন্য সদস্যদের সে জানায়। এই তথ্য পাওয়ার পর চক্রের সদস্য জিতু ও জাহাঙ্গীর তাদের কাছে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে মোটরসাইকেলটি চালু করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে চক্রের সদস্য খালিক সে এই মোটরসাইকেল নিয়ে বন্ধু মটরসের মালিকের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরবর্তীতে বন্ধু মোটরসের মালিক ৫০-৬০ হাজার টাকা আবার বিক্রি করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, এই চক্রটির কাছ থেকে আমরা এখন পর্যন্ত ৫০ টির ওপরে মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছি। চক্রটির মূলহোতা জাকারিয়া জানায়, তারা ঢাকা শহরের সব শপিং মলের সামনে থেকে এভাবে মোটরসাইকেল চুরি করে। তাদের একটা দোকান আছে, সেখান থেকে তারা মাস্টার চাবি সংগ্রহ করে এভাবে মোটরসাইকেল চুরি করে। তারা হবিগঞ্জের বন্ধু মোটরসে তাদের এই চুরির মোটরসাইকেলগুলো বিক্রি করে।

ডিবি প্রধান বলেন, আমরা ডিবির পক্ষ থেকে সবাইকে বলছি মোটরসাইকেল সব সময় পার্কিংয়ে পার্ক করবেন ১০ টাকা লাগলেও। তার পরও যদি চুরি হয়ে যায়, তাহলে থানায় জিডি নয় মামলা করবেন। আর যদি কোনো কারণে থানা মামলা নিতে না চায় তাহলে ডিবি অফিসে অভিযোগ করতে পারেন।
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2