avertisements 2

যতই হামলা হোক, মাঠ ছাড়ব না: জায়েদা খাতুন

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ মে,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:১৭ পিএম, ২৮ ফেব্রুয়ারী, বুধবার,২০২৪

Text

 জরুরি সংবাদ সম্মেলনে গাসিক নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ছবি: সংগৃহীত 

গাজীপুর সিটি করপোরেশন(গাসিক) নির্বাচনে প্রচারণার সময় বারবার বাধা, গাড়িবহরে হামলা ও ভাংচুরের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন বলেছেন, যতই হামলা হোক, আমি মাঠ ছাড়ব না। ২৫ তারিখ পর্যন্ত আমি ভোটের মাঠে থাকব।

শনিবার বিকেলে টঙ্গীতে প্রচারণাকালে হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে রাত ১১টায় নগরীর ছয়দানাস্থ নিজ বাড়িতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন এসব কথা বলেন। এসময় তার পাশে ছিলেন নির্বাচনী প্রধান সমন্বয়ক সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমি আমার ভোটের নিরাপত্তা চাই। আমার প্রতি এতো অত্যাচার কেন? এই অত্যাচারের কি বিচার হবে না? এখনই বুঝতেছি ভোট সুষ্ঠু হবে না। আমার ভোটটা আপনারা সবাই গুণে দিবেন। এই ভোটটা যেন বানচাল না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘৫৭টি ওয়ার্ডে যেখানেই যাই, সাধারণ মানুষ আমাকে ভোট দিবে বলে। কিন্তু টঙ্গীতে যে কয়দিন গিয়েছি আমাদের প্রচারণার গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আমাদের নেতা-কর্মী এমনকি সাংবাদিকদের গাড়িও ভাংচুর করা হচ্ছে। আমাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়, এতে অনেকেই রক্তাক্ত হয়েছে। আমাদের মাইক ভাংচুর করা হচ্ছে।’

জায়েদা খাতুন বলেন, ‘আমিও একজন প্রার্থী, আজমত উল্লাও একজন প্রার্থী। সে (আজমত) যখন আমাদের এদিকে প্রচারণায় আসে আমাদের কেউ তো তাতে বাধা দেয় না। শনিবার বিকেলে প্রচারণার সময় সামনে থেকে একদল এবং পেছন থেকে আরেকদল বস্তির পোলাপাইন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। পরে পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করে বাসায় দিয়ে গেছে। আহত নেতা-কর্মীদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমার তো ভোট চাইতে হবে। এভাবে কি ভোট চাওয়া যায়?’

জায়েদা খাতুন আরও বলেন, ‘আমি একজন মেয়ে মানুষ, অথচ আজমত উল্লা আমাকে এতো ভয় পায়। সরকার তো মেয়েদের অনেক সম্মান করে। আমি দেখবো সরকার এবং নির্বাচন কমিশন একজন মেয়ে প্রার্থী হিসেবে আমার জন্য কি করে।’

সংবাদ সম্মেলনে জায়েদা খাতুনের ছেলে ও তার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়ক সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নির্বাচনটা যদি মনে করেন সুষ্ঠু দেবেন বা সুষ্ঠু করাবেন তাহলে এখানে ভোটটা রাখেন। না হলে আপনাদের প্রার্থীকে আপনারা ডিক্লারেশনের মাধ্যমে নিয়ে যেতে পারেন। এতে আমাদের কোনো ধরনের আপত্তি থাকবে না। কিন্তু ভোটের নামে যেন তামাশা না হয়।’

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2