মাজারের স্বর্ণালংকারসহ ‘জ্বিনের বাদশা’ আটক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৩ | আপডেট: ১০:৫৪ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি। ছবি: সংগৃহীত
বগুড়া মহাস্থানগড়ের শাহ সুলতান মাজারের ‘জিনের বাদশা’ পরিচয় দিয়ে প্রতারক চক্রের সদস্য সাদ্দাম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের গোবিন্দপুর নলডাংগা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার সাদ্দাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের বগুলাগাড়ী গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামাল হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রতারক সাদ্দাম সুন্দরগঞ্জের দক্ষিণ মরুয়াদহ গ্রামের বানিজ মিয়ার স্ত্রী আকলিমা বেগমের কাছ থেকে বিকাশে এক লাখ ৮০ হাজার ও স্বর্ণালংকার বাবদ এক লাখ ৯০ হাজার টাকাসহ মোট তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এই অভিযোগে গোবিন্দপুরের নলডাংগা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসপি মো. কামাল হোসেন বলেন, সাদ্দাম নিজেকে শাহ সুলতান মাজারের জিনের বাদশা বলে পরিচয় দিতেন। গ্রেপ্তার সাদ্দাম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার নারী-পুরুষের কাছ থেকে নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিতেন বলে জানা গেছে।
আকলিমা জানান, গত ৮ এপ্রিল রাতে বগুড়া মাজারের জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মোবাইল নম্বর থেকে তাকে বলেন, মা তুমি অনেক পূণ্যের কাজ করেছ। তুমি সতী নারী। আল্লাহ তোমাকে পছন্দ করেছেন, তুমি সাতটি গুপ্তধনের হাড়ি পাবে। এই কথা বলে বিভিন্ন সময়ে বিকাশে তার নিকট থেকে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন।
এরপর গত ১৫ এপ্রিল উপজেলার মজুমদার হাইস্কুল মাঠে তিনজন অজ্ঞতানামা ব্যক্তি তাকে একটি পিতলের পুতুল দিয়ে তার নিকট থেকে এক লাখ ৯০ হাজার টাকার স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে চলে যান। এসময় ওই প্রতারক চক্রের সদস্যরা আকলিমাকে জানায়, ওই পুতুলটি বাড়িতে মাটির নিচে পুতে রাখলে গুপ্তধনের সাতটি হাড়ি পাওয়া যাবে।
বিষয়টি প্রতারণা জানতে পেয়ে আকলিমা থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ মোবাইল নম্বারের সূত্র ধরে প্রতারক চক্রের সদস্য সাদ্দামকে গ্রেপ্তার করে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজরিুজ্জামান বলেন, প্রতারক চক্রটি অসংখ্য নারী ও পুরুষের কাছ থেকে অনেক অর্থ-সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।