জালিয়াতির অভিযোগে পাইলট সাদিয়ার লাইসেন্স স্থগিত
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ এপ্রিল,রবিবার,২০২৩ | আপডেট: ০৬:০৬ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
জাল শিক্ষাসনদ জমা দেওয়ার অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদের কমার্শিয়াল পাইলট লাইসেন্স (সিপিএল) স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বেবিচক সদস্য (ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশনস) এয়ার কমোডর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক চিঠি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
পাইলট সাদিয়াকে দেওয়া ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনার এইচএসসি পরীক্ষার সনদসংক্রান্ত এক অভিযোগের তদন্ত শুরু করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আপনার এটিপিএলের সব সুযোগ-সুবিধা স্থগিত করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিমানের ফার্স্ট অফিসার সাদিয়া আহমেদ উচ্চমাধ্যমিকের সময় মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন। সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে পাইলট লাইসেন্স নেওয়ার অভিযোগে দার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়। এর আগে সনদ জালিয়াতির অভিযোগে বিমান থেকেও সাময়িক বরখাস্ত হন তিনি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সাদিয়া আহমেদ শহীদ আনোয়ার গার্লস কলেজ থেকে মানবিক শাখা থেকে দ্বিতীয় বিভাগে পাস করেছিলেন। উচ্চমাধ্যমিকে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী হওয়া সত্ত্বেও তিনি নিজেকে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী হিসেবে উল্লেখ করে জাল শিক্ষাসনদ জমা দিয়েছিলেন। অথচ বেবিচকের নির্দেশিকায় বলা আছে যে, বাণিজ্যিক পাইলটদের অবশ্যই এইচএসসি (বিজ্ঞান) বা বাধ্যতামূলক পদার্থবিদ্যা এবং গণিতের সঙ্গে সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে।
লাইসেন্স স্থগিত হওয়ায় সাদিয়া এখন থেকে দেশে বা বিদেশে কোনো বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালাতে পারবেন না। তদন্ত শেষ হওয়ার পরে, তার সিপিএল প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।
সাদিয়া আহমেদ বিমানের চিফ অব ট্রেনিং ক্যাপ্টেন সাজিদ আহমেদের স্ত্রী।