নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল
ফরিদপুরে ধর্ষণের অভিযোগে ছেলে-বাবাকে অমানবিক নির্যাতন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৭ মার্চ,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ০৫:৩১ পিএম, ২০ এপ্রিল,রবিবার,২০২৫

ছবি সংগৃহীত
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার মাঝকান্দী এলাকা থেকে নয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সৎ ভাইকে আসামি করে মামলা করেছে বাবা। পাশাপাশি বাবা ও সৎ ছেলেকে একটি স্কুল কক্ষে আটকিয়ে মারপিট করায় আরেকটি মামলা করেছেন একই ব্যক্তি।
তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বাসিন্দারা বলছেন, ধর্ষণের নাটক সাজিয়ে ওই কিশোর ও তার বাবাকে অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে মধ্যযুগীয় কায়দায়। যারা একাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এলাকাবাসী।
রায়পুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মো. বাচ্চু বলেন, শুক্রবার (১৭ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নে নয় বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাবা (৪০) ও শিশুটির সৎ ভাইকে (১৪) একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে মারপিট করে এলাকার সাত-আটজন ব্যক্তি।
পরে মধুখালী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। জানতে পারি বিষয়টা একটা নাটক করে তাদের নির্যাতন করা হয়। সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিত।
মধ্যযুগীয় কায়দায় এমন বর্বর নির্যাতনের ভিডিও দেখে হতবাক নেটিজেনরা। নির্যাতনের সময় উপস্থিত থাকা রুমা নামের একটি মেয়ে হাত তালি দিয়ে উল্লাস করে। যারা দেশের আইন কানুন অমান্য করে ছেলে ও বাবাকে নির্যাতন করল তাদের বিচার হওয়া উচিত।
এ ঘটনায় গত ২১ মার্চ বাবা বাদী হয়েছে ছেলেকে আসামি করে সৎ বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। একই দিন বাবা আরেকটি মামলা করেন। ওই মামলাটি করা হয় তাকে এবং তার ছেলেকে স্কুল ঘরে আটকিয়ে মারপিটের অভিযোগে। এ মামলার আসামি মো. কুতুব উদ্দিনকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ আব্দুল্লাহ্ বিন কালাম বলেন, মারপিটের ভিডিওটি গত শনিবার ভাইরাল হয়ে গেলে সেটি পুলিশের হাতেও আসে। ভিডিও দেখে মোট আটজনকে শনাক্ত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।
নির্যাতনকারীদের মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির মা বিদেশ থাকায় দত্তক নিতে চাওয়া ওই স্কুলের এক শিক্ষিকার কথা শোনা যাচ্ছে। বিষয়টি আরও তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।