সন্তানের মুখ দেখার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন সার্জেন্ট মুজাহিদ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ মার্চ,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ০৪:৫৮ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
‘মুজাহিদের স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আগামী মাসেই তিনি সন্তান প্রসব করবেন বলে চিকিৎসক সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছেন। সন্তানের মুখ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে ছিলেন মুজাহিদ। তার আগেই সড়ক দুর্ঘটনায় নির্মমভাবে প্রাণ হারাতে হলো তাকে। আমি জানি না মুজাহিদের স্ত্রীকে কী বলে সান্ত্বনা দেবো’। এভাবে ট্রাফিক সার্জেন্ট মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরীর জীবনের ট্যাজেডির কথা বলেছেন সিএমপির বন্দর ট্রাফিক জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে পতেঙ্গা এলাকায় ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেলে করে ফৌজদারহাট যাওয়ার সময় বন্দরের আউটার রিং রোড এলাকায় এ দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ট্রাফিক সার্জেন্ট মুজাহিদ।
মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, সঙ্গে থাকা আরেক সার্জেন্ট ও ১ কনস্টেবলের সঙ্গে আলাদা আলাদা বাইকে করে তারা ফৌজদারহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ওয়াই জংশন এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগামী একটি প্রাইভেটকার তাকে পেছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে সড়কে ছিটকে পড়েন মুজাহিদ। এরপর মুজাহিদকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পাহাড়তলি থানার পুলিশ প্রাইভেটকারটির চালককে আটক করেছে।'
মোহাম্মদ মুজাহিদ চৌধুরী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর ট্রাফিক বিভাগে কর্মরত ছিলেন।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর বন্দর জোনের আরেক ট্রাফিক সার্জেন্ট বকশী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩০) কর্মরত অবস্থায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় একই সড়কে নিহত হন।