ভোলায় দুই শিশুর গায়ে হলুদের আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে, সমালোচনার ঝড়
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৬ মার্চ,সোমবার,২০২৩ | আপডেট: ১১:৫৯ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ৭ বছরের ছেলে ও ৫ বছরের মেয়ের আনুষ্ঠানিকভাবে গায়ে হলুদ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দুই শিশুর গায়ে হলুদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে চলে নানা সমালোচনা।
ভিডিওটিতে একটি পুরুষ কণ্ঠে বলতে শোনা যাচ্ছে, এরা দুই জন চাচাতো ভাই-বোন। তাদের পরিবারের মতামতের ভিত্তিতে তাদের বিবাহ দেওয়ার কার্যক্রম চলছে। তবে এদের দুই জনের ২০ বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত আলাদা থাকবে। ২০ বছর বয়সের পর এরা দুজন একসঙ্গে সংসার করবে।
গত শুক্রবার বিকালে লালমোহন উপজেলার কালমা ইউনিয়নের বাকলাইয়ের দোকান সংলগ্ন বয়াতি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দুই দিন পর রোববার দুপুরের দিকে দুই শিশুর গায়ে হলুদের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
তবে এ দুই শিশুর পরিবারের দাবি মূলত সাত বছর বয়সী শিশু রাফসানের আকিকা উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে পরিবারের লোকজন দুষ্টুমি করে গায়ে হলুদের আয়োজন করে। সঙ্গে রাফসানের চাচাতো বোন কোহিনূর মারিয়াকেও গায়ে হলুদ দেওয়া হয়। কেউ একজন ভিডিওটি করে বিষয়টি বিবাহ বলে প্রচার করেছে।
ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিওতে আরও দেখা গেছে, একটি বিয়ের গায়ে হলুদের জন্য যা যা প্রয়োজন হয় ওই দুই শিশুর গায়ে হলুদেও রয়েছে সেইসব আয়োজন। সেখানে উপস্থিত আছেন ওই দুই শিশুর বাবা-মাসহ আত্মীয় স্বজনরা। তারা গান বাজিয়ে বাঁধভাঙ্গা উল্লাসে মেতেছেন।
৭ বছরের ছেলে মো. রাফসান ও ৫ বছরের মেয়ে কোহিনূর মারিয়া নামের ওই দুই শিশু বয়াতি বাড়ির রাসেল ও শিপন বয়াতির ছেলে-মেয়ে। তারা সম্পর্কে আপন চাচাতো ভাই-বোন।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর ওই বাড়িতে গিয়ে ছেলে ও মেয়ের বাবা-মাকে পাওয়া যায়নি। তবে ছেলেমেয়ের চাচা পিকু বয়াতি জানান, গত শুক্রবার তার ভাতিজা রাফসানের আকিকা অনুষ্ঠান ছিল। সে উপলক্ষে গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। যেখানে মজার ছলে ছোট ভাতিজিকেও বসানো হয়। কেউ একজন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানটি ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেয়। সেখানে বলা হয়, তার ভাতিজা ও ভাতিজির বিয়ের গায়ে হলুদ চলছে। মূলত এটি আকিকা অনুষ্ঠান ছিল।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনামিকা নজরুল সাংবাদিকদের জানান, এ ধরনের কোনো ভিডিও বা ঘটনা তার নজরে আসেনি। বিষয়টি জানার চেষ্টা করছেন।
লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। তারা ফিরলে মূল ঘটনা জানা যাবে।