ধানের শীষের কাণ্ডারী হতে চান বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:৩৮ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর,শনিবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:১২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে উপ-নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ১৭অক্টোবর। এই আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিলো। ইতিমধ্যেই তফসিল ঘোষণাসহ সরকার দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে আনোয়ার হোসেন হেলালকে। আর বিএনপি দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও সাক্ষাতকার গ্রহণ শুরু করেছে।
দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে আনোয়ার হোসেন হেলাল পুরোদমে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারনার কার্যক্রম শুরু করলেও বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের মাঠে তেমন দেখা না গেলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন আত্রাই ও রাণীনগর উপজেলার বিএনপির দু:সময়ের কাণ্ডারী হিসেবে পরিচিত বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু।
১৯৯১ ও ৯৬ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। ২০০১ সালে ইসরাফিল আলমকে পরাজিত করে আলমগীর কবীর আবারও বিজয়ী হন। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষের দিকে আলমগীর কবির এলডিপিতে যোগ দেন। একই বছরে এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে এই অঞ্চলের বিএনপির হাল ধরেন আলমগীর কবীরের ছোট ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলুকে পরাজিত করে ২০০৮সালে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। এরপর ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এবং ২০১৮সালের নির্বাচনে সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীরকে পরাজিত করে আবারোও বিজয়ী হন ইসরাফিল আলম। মূলত এ আসনটি চারবার বিএনপির অধীনে থাকলেও ২০০৮ সালের পর থেকে আওয়ামীলীগের দখলে ছিলো। গত ২৭জুলাই এই আসনের সাংসদ ইসরাফিল আলমের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
বীরমুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন বুলু বলেন, দীর্ঘ ১২বছর ধরে আমি শক্ত হাতে এই অঞ্চলে বিএনপির হাল ধরে রাখার চেষ্টা করে আসছি। দলের ক্রান্তিকালে সকল বিভেদকে জয় করে দলকে সুসংগঠিত রাখার চেষ্টা করেছি। বর্তমান সরকারের দু:শাসনের শিকার বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছি। রাজপথের প্রতিটি আন্দোলনে আমি প্রথমে থেকে সবাইকে সাহস দিয়ে আসছি। এই অঞ্চলের বিএনপির নেতা হিসেবে তৃণমূল থেকে সকল পর্যায়ের মানুষ আমাকেই চিনেন এবং জানেন। এই উপ-নির্বাচনে যেহেতু সরকার দলীয় প্রার্থী খুবই শক্তিশালী তাই সেই প্রার্থীর সঙ্গে যুদ্ধ করার মতো সাহস ও ক্ষমতা একমাত্র আমারই আছে বলে আমি আশাবাদী। তাই বিএনপির রাজ্য হিসেবে খ্যাত নওগাঁ-৬ আসনটি পুন:রুদ্ধারের জন্য আমার কোন বিকল্প নেই। সকল কিছু বিবেচনা সাপেক্ষে যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় এবং নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ ভোট অনুষ্ঠিত হয় তাহলে আমি শতভাগ আশাবাদি যে আমি বিপুল ভোটে বিজীয় হয়ে দেশনেত্রীকে এই আসনটি উপহার দিতে পারবো।