জাপায় নতুন করে পুরনো নাটক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২১ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৩ | আপডেট: ১২:৫০ এএম, ২২ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
নির্বাচন ঘিরে জাতীয় পার্টিতে নাটকীয়তা নতুন নয়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দলটিতে ফের শুরু হয়েছে নাটক। সোমবার মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করলেও নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে দলটির নেতারা। এ ছাড়া শীর্ষ নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের কারণে নির্বাচনকালীন জোট ও দলের ক্ষমতা কার হাতে থাকবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অস্পষ্টতা।
দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ নির্বাচনী তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে জোট গঠনে কমিশনকে চিঠির দেওয়ার পরদিনই রাষ্ট্রপতিকে তফসিল পেছানোর অনুরোধ করায় পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়েছে বলে মনে করছেন পার্টির অনেকেই।
এবার তফসিল ঘোষণার পর থেকেই দুই শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যকার মতবিরোধ ও বিভিন্ন কর্মতৎপরতায় তা আরও স্পষ্ট। একদিকে দলে চেয়ারম্যান জি এম কাদের অন্যদিকে রয়েছেন সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। গত ৩ দিনে এই দুই নেতা ও তাদের অনুসারীদের ভিন্ন বক্তব্য পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে করে তুলেছে।
সবশেষ সোমবার জাপার মনোনয়ন ফরম বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে দল এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছেন পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনো নির্বাচনে যাওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। নির্বাচনের পরিবেশ এখনো হয়নি। পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখছি। সময়ের বাধ্যবাধকতা আছে, তাই নির্বাচনী কার্যক্রম এগিয়ে রাখতে মনোনয়নপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে পার্টির চেয়ারম্যান ৩০ নভেম্বর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।’
এর আগের দিন রোববার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন রওশন এরশাদ। সেখানে ঘোষিত তফসিলকে স্বাগত জানিয়ে তা আবার পেছানোর অনুরোধ করেন তিনি। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আয় আয়কর রিটার্নের তথ্য পেতে প্রার্থীদের সময় লাগতে পারে তাই তিনি এই অনুরোধ করেছেন বলেও জানান। তবে সব দলের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন আয়োজনের জন্য রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ নেবেন এমনটাও আশা করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি সংসদের বিরোধী দলের নেতা তার অনুসারীদের সাক্ষাতের আগের দিন শনিবার নির্বাচন কমিশনকে জোট গঠন ও মনোনয়ন প্রদানের ক্ষেত্রে দলীয় ক্ষমতার কার হাতে থাকবে তা জানিয়ে পৃথক পৃথক চিঠি দিয়েছেন রওশন এরশাদ ও জি এম কাদেরের পক্ষে দলের মহাসচিব। চিঠিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মহজোটে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন রওশন এরশাদ। অন্যদিকে প্রয়োজনে ৩শ’ আসনে লাঙ্গল প্রতীকে প্রার্থী দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব।
এ ছাড়া নির্বাচন কমিশনে পার্টির নিবন্ধনে উল্লিখিত গঠনতন্ত্রের উদাহরণ দিয়ে মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘মনোনয়ন ও প্রতীক বণ্টনের সব ক্ষমতা রয়েছে চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের।’ এর ঠিক একদিন পরই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রওশন এরশাদ।’ এদিকে গুঞ্জন উঠেছে, জাপার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন রওশন এরশাদ। তবে তার মুখপাত্র এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে জাপায় কোনো বিভেদ নেই জানিয়ে মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ইসিতে যে চিঠি দিয়েছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত। দলের প্রতীক বরাদ্দের ক্ষমতা চেয়ারম্যানের। এটি আইপিওতে উল্লেখ আছে। সেটাই কমিশনকে জানানো হয়েছে।’