নুরের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করলেন সাফাদি
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৫ জুলাই,
বুধবার,২০২৩ | আপডেট: ০৮:০৮ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের ভাইরাল হওয়া ছবি। ছবি: সংগৃহীত
গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা স্বীকার করেছেন ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদি। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের একটি জাতীয় দৈনিক। এতে ইসরায়েলের নাগরিক মেন্দি এন সাফাদির সঙ্গে নুরুল হক নুরের সাক্ষাতের বিষয়টি সত্য বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মেন্দি এন সাফাদি গত ২৬ জুন মুঠোফোনে খুদে বার্তা দিয়ে এসব কথা স্বীকারোক্তি দেন। তার মুঠোফোন নম্বরটি প্রতিবেদক সাফাদি সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোম্যাসি, রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস নামে ফেসবুক পেজ থেকে সংগ্রহ করেছে। প্রতিষ্ঠানের বোর্ড মেম্বার হিসেবে মেন্দি এন সাফাদির নাম রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ইসরায়েলের বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীন ইসরায়েলি করপোরেশনস অথরিটিতে নিবন্ধিত। তবে সাক্ষাতের খবর নাকচ করে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। এই অভিযোগ ছয় মাস আগে করা হয়েছিল। তখনো কেউ প্রমাণ করতে পারেনি। আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলে ভাঙন ধরাতে, দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আমার মনে হচ্ছে, কেউ টাকা-পয়সা দিয়ে লবিং–তদবির করে একটা মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেয়াতে পারেন। আমি যত দূর জানি, তিনি নিজেও একটি লবিস্ট ফার্ম পরিচালনা করেন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মেন্দি এন সাফাদি ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন লিকুদ পার্টির সদস্য। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থক। এছাড়া তিনি ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা গোলান মালভূমি এলাকার বাসিন্দা। তবে ইহুদি নয় তিনি দ্রুজ ধর্মাবলম্বী। দুবাইয়ে ব্যবসা করেন। বাংলাদেশের গণমাধ্যমে রাজনৈতিক নেতাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, মেন্দি ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের এজেন্ট। তিনি মোসাদের এজেন্ট- এ ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যায়নি। আবার তিনি যে মোসাদের এজেন্ট নন, সে ব্যাপারেও কোনো তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ২০১৬ সালের মে মাসে বাংলাদেশে মেন্দি এন সাফাদির নাম প্রথমবারের মতো আলোচনায় আসে।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরী আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতে ইসরায়েলিদের সঙ্গে আঁতাত করেছেন। শিপন কুমার বসু নামের এক ব্যক্তির মধ্যস্থতায় মেন্দির সঙ্গে আসলামের বৈঠক হয়। তিনি ওয়ার্ল্ড হিন্দু স্ট্রাগলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলা নিয়ে আলাদা একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়তে চান। ২০১৬ সালের মে মাসে আগ্রায় একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সে সময় মেন্দি ভারত সফর করছিলেন।
মেন্দির সঙ্গে সাক্ষাতের খবর বের হওয়ার পর ওই বছরের ১৫ মে আসলামকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় রাজধানী থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এক বছর পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। পরে তার বিরুদ্ধে দুদকের দুর্নীতি মামলাসহ একাধিক মামলা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। পরে নূর-সাফাদির একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। বিষয়টি নিয়ে এখনও চলছে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য।