চিন্তা বাড়াচ্ছে ‘টাক ভাইরাস’, মাত্র ৩ দিনেই মাথা ফাঁকা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ জানুয়ারী,শনিবার,২০২৫ | আপডেট: ১২:২৬ পিএম, ১৫ জানুয়ারী,
বুধবার,২০২৫
সংগৃহীত ছবি
ইতিমধ্যেই এইচএমপিভি নিয়ে খুব ভীত ভারতের জনগণ। এমন আতঙ্তের মধ্যেই একটি অদ্ভুত রোগ দেখা যাচ্ছে দেশটির মহারাষ্ট্রের বুলধানা জেলার তিনটি গ্রামে। গ্রামবাসীদের দাবি, একটি অদ্ভুত রোগ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামে। যেখানে মানুষের চুল হঠাৎ পড়ে যাচ্ছে।
মাত্র তিন দিনেই ফাঁকা হচ্ছে মাথা।
হঠাৎ চুল পড়া ও টাক পড়ার সমস্যায় ভুগছেন নারী-পুরুষ ও শিশুরা। বুলধানা জেলার এসব গ্রামের প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন লোক জানিয়েছেন, তাদের চুল হঠাৎ অনেকটাই পড়ে গেছে। এরপরই তদন্ত শুরু করেছেন স্বাস্থ্য় কর্মকর্তারা।
এই ঘটনায় সবচেয়ে আশ্বর্যজনক বিষয় হলো, কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষের চুল মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই পুরোপুরি পড়ে গেছে। হঠাৎ চুল পড়া কোনো রোগ না অন্য কোনো কারণে তা ঘিরে রহস্য তৈরি হয়েছে। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর গোটা জেলায় চুল নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
অনেকের কাছ থেকে হঠাৎ চুল পড়ার ক্রমাগত রিপোর্ট পাওয়ার পরে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা বন্ডগাঁও, কালওয়াদ এবং হিংনা গ্রামে তদন্ত শুরু করেন।
এই ঘটনার কারণ জানতে রোগীদের পরীক্ষা করেন তারা। এক বৃদ্ধা জানান, গত রবিবার থেকে তার চুল পড়ে যাচ্ছে। সে তার চুল একটি ছোট ব্যাগে রেখে দিয়েছে।
এক যুবক জানান, তার চুলও পড়ে যাচ্ছে। গত ১০ দিন ধরে তার চুল দ্রুত পড়ে যাচ্ছে।
তার দাড়িও পড়ে যাচ্ছে। চুল পড়ায় ঘটনার পরই অনেকেই মাথা ন্যাড়া করেছেন। তদন্ত দলের সঙ্গে যুক্ত একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, তিনটি গ্রাম থেকেই সংগ্রহ করা পানির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা অমল গীতে বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক তদন্তের জন্য একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন এপিডেমিওলজিস্টকে গ্রামে পাঠিয়েছি। প্রায় ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ পাওয়া যায়। যে কারণে মানুষের চুল পড়ে।
আমরা সেখানকার পানির হেভি মেটাল পরীক্ষা করব, কারণ এই ধরনের মেটাল থাকলে ছত্রাকের সংক্রমণ হয়। আমরা ২ থেকে ৪ জন রোগীর ত্বকের নমুনা নেব এবং মাইক্রোস্কোপির জন্য আকোলা মেডিকেল কলেজে পাঠাব। দুই-তিন দিনের মধ্যে পানির নমুনা পরীক্ষা ও বায়োপসির রিপোর্ট আসবে বলে জানিয়েছেন গীতে। চুল পড়ার কারণ সম্পর্কে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।