হারানো স্বজনদের একত্রিত করল ১২১ বছরের পুরোনো পোস্ট কার্ড
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর,
বুধবার,২০২৪ | আপডেট: ১১:৫১ এএম, ৮ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
একটি কার্ডে কিছু লিখছেন এক ব্যক্তি। তার চারপাশে ছড়িয়ে আছে নানা ধরনের পোস্ট কার্ডের সংগ্রহ। ছবি : সংগৃহীত
বহু বছর আগে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের সঙ্গে জীবনে প্রথমবারের মতো দেখা করেছেন যুক্তরাজ্যের সোয়ানসিতে হেলেন রবার্টস নামের এক নারী। আর তা সম্ভব হয়েছে ১২১ বছর পুরোনো একটি পোস্ট কার্ডের জন্য।
স্কাই নিউজ জানিয়েছে, চলতি মাসের শুরুতে পোস্ট কার্ডটি সোয়ানসি বিল্ডিং সোসাইটিতে গিয়ে পৌঁছেছে। যা রবার্টসের দাদার শৈশবের বাড়ি ছিল। রবার্টস এখনও ওই এলাকাতেই থাকেন।
পোস্ট কার্ডটির প্রেরক হচ্ছেন ইওয়ার্ট। তিনি রবার্টসের দাদার ভাই। ইওয়ার্ট পোস্ট কার্ডটি তার বোন লিডিয়াকে পাঠিয়েছিলেন।
পোস্ট কার্ডটি থেকে বোঝা যায়, বোনের কাছে পোস্ট কার্ডটি পাঠানোর সময় প্রেরক তার দাদা-দাদির বাড়িতে ছিলেন।
১২১ বছরের পুরোনো সেই পোস্ট কার্ডে লেখা রয়েছে, ‘প্রিয় এল আমি পারিনি। এই জোড়া পাওয়া সম্ভব ছিল না। আমি খুবই দুঃখিত। তবে আমি আশা করি তুমি বাড়িতে উপভোগ করছ। আমি ট্রেন ভাড়া ছাড়াই হাত খরচের জন্য ১০ শিলিং পেয়েছি। তাই আমার দিন ভালোই কাটছে। মিস গিলবার্ট ও জনকে আমার কথা বলে। ইওয়ার্টের পক্ষ থেকে সবার জন্য ভালোবাসা।’
মজার বিষয় হলো, রবার্টস ইন্টারনেটে প্রথম পোস্ট কার্ডটি শেয়ার করার পরপরই তিনি একটি বার্তা পান। তখন তিনি অনলাইনে তার ‘ফ্যামিলি ট্রি’র সন্ধান করছিলেন। আর সেই বার্তায় তার ‘ফ্যামিলি ট্রি’ সম্পর্কেই জানতে পারেন।
রবার্ট বলেছেন, ‘বার্তাটি একটি নারী পাঠিয়েছিলেন। তিনি সামাজিকমাধ্যমে আমার নিবন্ধটি দেখেছিলেন। তিনি পোস্ট কার্ডটি যাকে পাঠানো হয়েছে তার নাম ও ঠিকানা আমাকে দেন। ঠিকানা ও নাম দেখা মাত্রই আমি চিনতে পারলাম যে তা ছোটবেলায় আমার দাদুর পারিবারিক বাড়ি ছিল। আর লিডিয়া আমার দাদুর বোন।’
গত বুধবার ইওয়ার্টের নাতি নিক ডেভিস ও লিডিয়ার প্রপৌত্রী ফেইথ রেনল্ডসের সঙ্গে দেখা করেন রবার্টস ও তার বোন মার্গারেট স্পুনার।
রবার্টস আরও বলেছেন, ‘বুধবার দারুণ কেটেছে। আমার পরিবারের এমন দুজনের সঙ্গে দেখা হয়েছে, যাদের সঙ্গে দেখা হওয়া তো দূরের কথা আগে কখনও আমরা তাদের কথাও শুনিনি।’
রবার্ট আরও জানিয়েছেন, এর মাধ্যমে তিনি তাদের কিছু হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তার দাদার ভাইবোনদের সম্পর্কে আরও জানতে পেরেছেন। তারা যোগাযোগ রাখার জন্য ও তাদের পরিবার সম্পর্কে আরও জানতে একে অপরের ইমেইল আদান-প্রদান করেছেন।