সুন্নত পালন করতে গিয়ে যদি জেল বা ফাঁসিও হয় তবে হোক: সিদ্দিক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:০৮ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:১৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
না জানিয়ে ছেলেকে খতনা করায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেছেন তার সাবেক স্ত্রী মারিয়া মিম। শনিাবর (১২ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর গুলশান থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন তিনি।
এদিকে সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি নিউজে দেখেছেন সিদ্দিক। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছেলের সুন্নতে খতনা করানো প্রতিটি মুসলিম বাবার দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব পালন করেছি আমি। এটা ইসলাম ধর্মের একটা গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত। এই সুন্নত পালন করতে গিয়ে যদি আমার জেল বা ফাঁসিও হয় তবে হোক। এ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই’।
এর আগে ছেলের খতনার বিষয়টি জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে মারিয়া মিম বলেন, ‘আমাকে সিদ্দিক ফোন দিয়ে বলল, বাবুকে আজকে দাও, একটা বিয়ের প্রোগ্রামে যাব। আমি বললাম, ওকে ফাইন। দিয়ে আসলাম বাবুকে সুন্দর করে রেডি করে। একটু আগে ফোন দিল, সাউন্ড পাচ্ছি বাবু কান্না করতেছে।
আমি বললাম, কী হইছে? সিদ্দিক বলল, ওরে তো সুন্নতে খতনা করালাম। ওহ, মাই গড, আমি জানতে পারব না, ওরা আমার বাচ্চাকে নিয়ে যা খুশি করতে পারে না। সুন্নতে খতনা করায়ে দিল! এটা তো একটা ক্রাইম।’
ফেসবুক মারিয়া মিম আরও লেখেন, ‘যেখানে কোর্ট অর্ডার বাচ্চা মর্নিংয়ে যাবে এবং ইভিনিংয়ে চলে আসবে, জাস্ট থাকবে কিছুক্ষণ। আর সেখানে সে এত বড় ডিসিশন নিয়ে নেবে উইদাউট মাই পারমিশন?’
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অভিনেতা সিদ্দিক গণমাধ্যমে তিনি বাবা হিসেবে সন্তানের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ওর মাকে বারবার বলার পরও কাজটি করে নাই। আমার বাচ্চার বয়স ৮ বছর হয়ে গেছে। এখনই সুন্নত কাজ না সারলে আল্লাহ নারাজ হবেন। তাই বাবা হিসেবে আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি।
উল্লেখ্য ২০১২ সালে ২৪ মে মারিয়া মিমকে বিয়ে করেন সিদ্দিক। পরের বছর ২৫ জুন পুত্র সন্তান আসে এ দম্পতির ঘরে। মিমকে মিডিয়ায় কাজ করতে বাধা দেওয়ায় শুরু হয় তাদের মধ্যে মনোমালিন্য। তার জেরে ২০১৯ সালের অক্টোবরে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। তারপর থেকে নিয়ম অনুযায়ী বাবা ও মায়ের কাছেই থাকছিল আরশ রহমান।