মরদেহ পেলেও পাওয়া যায়নি নজরুলের পৌনে ২ লাখ টাকা
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ মে,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৮:৪০ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নজরুল ইসলাম আকন যে কিনা গ্রামের বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাসের লক্ষ্যে ফিরতে চেয়েছিলেন। তাই ঢাকার সাভারের নবীনগরে থাকা নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে, মালামাল বিক্রি করে দিয়েছিলেন।
আর সেই মালামাল বিক্রির এক লাখ ৯০ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে শনিবার (২৮ মে) রাতে ঢাকা থেকে যমুনা লাইনের দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির যাত্রী হন। সঙ্গে ছোট ভাই সাকিব আকনের স্ত্রী তাজনাহার বেগমও ছিল। তবে, তাদের দুইজনের কারোরই আর বাড়িতে ফেরা হয়নি।
রোববার (২৯ মে) সকালে বরিশালের উজিরপুরের বামরাইলে দুর্ঘটনায় যমুনা লাইনের বাসের ১০ যাত্রীর মধ্যে তারা দুইজনও নিহত হন। রোববার দুপুরে কান্নাজড়িত কন্ঠে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মরদেহ বুঝে নিতে এসে এ কথা বলেন নজরুলের ভাগনে নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সাভারের নবীনগরে মুদি দোকান ছিল আমার মামা নজরুল ইসলাম আকনের। তিনি তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুটিয়ে বাড়িতে বসবাসের জন্য ফিরে আসছিলেন। তার সঙ্গে ছিল ছোট ভাই সাকিব আকনের স্ত্রী তাজনাহার বেগম। আমরা সকালে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে এ হাসপাতালে এসে দেখি দুইজনের মরদেহ। তাদের বাড়ি ফেরা ঠিকই হবে তবে চিরনিদ্রায়।
নুরুল ইসলাম বলেন, নজরুল আকনের সঙ্গে তার দোকান ও এর মালামাল বিক্রি করে পাওয়া ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা এবং মোবাইল ফোন, মানিব্যাগ ছিল। আর তাজনাহার বেগমের সঙ্গে স্বর্ণালংকারসহ ব্যাগ ছিল। তবে, দুইজনের মরদেহ ছাড়া আর কিছুই পাইনি। পুলিশ কিছু বলতে পারিনি। যদিও মানুষই নেই সেখানে এগুলো দিয়ে কি হবে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেল্লাল হোসেন বলেন, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা ফায়ার সার্ভিস আমাদের কাছে শুধু একটা মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ দিয়েছে। সেটার মধ্যে হাজার খানেক টাকা থাকতে পারে,তবে এত টাকা উদ্ধারের সময় পাওয়া যায়নি। আর যে মালামাল পাওয়া গেছে উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে তা স্বজনরা নিয়ে যেতে পারবে।
তিনি বলেন, এখনও দুই মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়নি। আর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে মরদেহ দুটি শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। বাকি মরদেহগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকেই স্বজনরা বুঝে নিয়েছেন।