চাকরি, জমি ও ফ্ল্যাট উদ্ধারের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ
বহুল আলোচিত প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে: র্যাব
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৪ জুন,সোমবার,২০২১ | আপডেট: ০৩:৫০ এএম, ১৫ ডিসেম্বর,রবিবার,২০২৪
কাফরুল থানাধীন এলাকা থেকে বহুল আলোচিত প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) এর তথ্যের ভিত্তিতে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৪ গত বৃহস্পতিবার মিরপুর-১০-এর সেনপাড়া পর্বতা এসএসআই গ্রুপের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের হোতা শেখ হাবিবুর রহমান ওরফে এস কে হাবিবসহ তিন প্রতারককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত অন্য দুই সদস্য হলো—মো. খলিলুর রহমান এবং মো. আবু সাইদ। এর মধ্যে হাবিবুরের বাড়ি বরিশাল, খলিলুরের বাড়ি মাদারীপুর ও আবু সাইদের বাড়ি চাঁদপুর।
সূত্রমতে জানা যায়, শেখ হাবিবুর রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিবর্গের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সুকৌশলে প্রতারণা করে আসছিল। গ্রেফতারকৃত প্রতারক চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদেরও নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় সাধারণ মানুষের কাছে ভুয়া পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করেছে। এই চক্রের হোতা শেখ হাবিবুর রহমান এসএসআই করপোরেশন নামে একটি সংস্থা খুলে চাকরি দেওয়া, জমি ও ফ্ল্যাট উদ্ধারসহ যে কোনো কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার উদ্দেশ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
এছাড়া শেখ হাবিব সরকারের উঁচু মহলের আত্মীয় পরিচয়ে সম্প্রতি পুলিশের বিভিন্ন থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রধানকে তদবির করে। শেখ হাবিবের দ্বারা প্রতারিত অসংখ্য ভুক্তভোগী রয়েছে যারা এ ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছে। এস কে হাবিবের ছেলে শেখ ইমরানও পিতার ন্যায় প্রতারণায় জড়িত। এদিকে শেখ হাবিবের পুত্রবধূ ও শেখ ইমরানের স্ত্রী শারমিন আক্তার এক সময় গণভবনে কর্মরত ছিলেন। শেখ ইমরানের সঙ্গে তার বিবাহের পর স্বেচ্ছায় চাকরি ছেড়ে দেয় এবং স্বামী ইমরান ও শ্বশুর শেখ হাবিবের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার সঙ্গে শারমিনও জড়িয়ে পড়ে।
ঐ তিন প্রতারককে গ্রেফতারকালে প্রতারণার আলামত হিসেবে একটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, নগদ ১ লাখ টাকা (ফ্ল্যাট ছাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সদ্য গৃহীত), পাঁচটি মোবাইল, ১৯৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, প্রতারণার মাধ্যমে নেওয়া বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি চেক, এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ২৫টি, জন্ম সনদের ফটোকপি ১০টি, সিভি একটি ও তিন সেট চুক্তিনামা উদ্ধার করা হয়।