avertisements 2

‘মুসকিল লীগ’ থেকে ‘বেকার সমাজ’―নিবন্ধন চায় ৮০ দল

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩১ অক্টোবর,সোমবার,২০২২ | আপডেট: ১২:০৫ এএম, ১৪ আগস্ট,বৃহস্পতিবার,২০২৫

Text

আজ রবিবার শেষ দিনে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছে প্রায় ৪০টি রাজনৈতিক দল। এ নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ইসির নিবন্ধন পেতে প্রায় ৮০টি নতুন রাজনৈতিক দল আবেদন জমা দিল। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার একজন কর্মকর্তা আজ সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  কমিশন সচিবালয়ের তথ্য অনুসারে, গতবার (একাদশ নির্বাচন) নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল ৭৬টি দল।

এসব দলের মধ্যে একটিকেও নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন না দিলেও পরে আদালতের নির্দেশে দুটি দল নিবন্ধন পায়। এবার তিন মাস সময় দিয়ে গত ২৬ মে আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দেয় নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ২৯ আগস্ট ছিল আবেদনের শেষ সময়। পরে আরো দুই মাস বাড়িয়ে ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন সময় দেয় ইসি। গতকাল ছুটির দিন থাকায় আজ (৩০ অক্টোবর) আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়।

একটি শর্ত অপূর্ণ থাকলেও কোনো দল নিবন্ধন পাবে না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নিবন্ধন পেতে আগ্রহী দলগুলোকে শতভাগ শর্ত পূরণ করতে হবে। একটি শর্তও যদি অপূর্ণ থাকে তবে নিবন্ধন পাবে না।

মো. আলমগীর বলেন, আজ (রবিবার) শেষ দিন। এরপর আমরা কমিটি করে দেব। তারা যাচাই-বাছাই করবে। তারপর আমরা দেখে সিদ্ধান্ত দেব। শর্ত পূরণের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ কম থাকলেও নিবন্ধন পাবে না। যেকোনো দলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে।

জামায়াতের নেতারা বিভিন্ন নামে নিবন্ধনের আবেদন করেছে―এ তথ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা তো দেখিনি। আপনারাই (গণমাধ্যম) বলছেন। তবে যেকোনো দলের ক্ষেত্রেই শতভাগ শর্ত পূরণ করার বিষয়টি প্রযোজ্য হবে। ’

তিনি বলেন, ‘রোডম্যাপ অনুযায়ী মে মাসে আমরা নিবন্ধন দেওয়ার কাজ সমাপ্ত করব। মে মাসের শেষে যারা নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্য তারা পাবে। যারা পাবে না তাদেরকেও জানিয়ে দেব যে, এই এই কারণে নিবন্ধন দেওয়া হলো না। ’

গতবার দল নিবন্ধনের জন্য ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ইসি। সময় দেওয়া হয়েছিল ওই বছর ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এতে নিবন্ধন পেতে আবেদন করেছিল ৭৬টি রাজনৈতিক দল। সে সময় কে এম নূরুল হুদা কমিশন শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণ দেখিয়ে সবগুলো দলের আবেদন বাতিল করে। পরে আদালতের আদেশে নিবন্ধন পায় জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।

তার পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করলে ৪৩টি দল আবেদন করে। সে সময় কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ কমিশন বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ) ও সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, এই দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়। এ দুই দলের মধ্যে বিএনএফের শর্তপূরণ নিয়ে প্রথম দিকে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন কর্মকর্তারা নেতিবাচক প্রতিবেদন দিলেও শেষ পর্যন্ত নানা বিতর্কের মধ্যে দলটিতে নিবন্ধন দেওয়া হয়।

বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল রয়েছে ৩৯টি। এ পর্যন্ত যে পাঁচ দলের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, সেগুলো হলো―বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ফ্রিডম পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টি (পিডিপি) ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

এবার যেসব দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছে তার মধ্যে রয়েছে নৈতিক সমাজ, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল রিপাবলিকান পার্টি, মুসকিল লীগ, নতুন বাংলা, বঙ্গবন্ধু দুস্থ ও প্রতিবন্ধী উন্নয়ন পরিষদ, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক পার্টি, বাংলাদেশ ইত্যাদি পার্টি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি, বৈরাবরী পার্টি, বাংলাদেশ বিদেশ প্রত্যাগত প্রবাসী ও ননপ্রবাসী কল্যাণ দল, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ আমজনতা পার্টি, বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি মুভমেন্ট, বাংলাদেশ তৃণমূল জনতা পার্টি, এবি পাটি, সম্মিলিত সংগ্রাম পরিষদ, বাংলাদেশ জাতীয়বদী আন্দোলন (বিএনএম), বাংলাদেশ এলডিপি, বাংলাদেশ জাস্টিস পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল গ্রীন পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, গণ রাজনৈতিক জোট (গর্জো), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পাটি (বিডিপি), বাংলাদেশ বেকার সমাজ, নতুন ধারা বাংলাদেশ, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, বাংলাদেশ তৃণমূল লীগ, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেসি পার্টি (এলডিপির একটি অংশ)-সহ আরো প্রায় ৪৭টি দল।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2