avertisements 2

তিনিই বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৭ মার্চ,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ১২:৪২ পিএম, ৯ মে,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

১৭ মার্চ ১৯৭১। সেদিনটি ছিল বঙ্গবন্ধুর ৫২তম জন্মদিন। সেদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে, বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা শুভেচ্ছা জানাতে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গেলে এক বিদেশি সাংবাদিক জিজ্ঞেস করলেন, আপনার ৫২তম জন্মদিনে কি কামনা? বঙ্গবন্ধু জবাবে বললেন, জনগণের সার্বিক মুক্তি। আমি জনগণেরই একজন। আমার জন্মদিনই কি, আর মৃতু্যদিবসই কি! জনগণের জন্যই আমার জীবন ও মৃতু্য। আজ তার শতবর্ষ পেরিয়ে দ্বিতীয় জন্মদিনে তার প্রতি বিনম্র্র শ্রদ্ধা জানাই। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্মদিবস ও জাতীয় শিশু দিবস। আজ তার জন্মদিনে মনে করিয়ে দেয় রবীন্দ্রনাথের একটি উক্তি, তিনি এক সময় বলেছিলেন, বটগাছের পূর্ণরূপ দেখতে হলে দূর থেকেই দেখতে হয়। বঙ্গবন্ধু আমাদের ইতিহাসের বটবৃক্ষ, মহানায়ক। বঙ্গবন্ধুকে দেখতে হলে দূর থেকেই অর্থাৎ শুরু থেকেই তার রাজনৈতিক জীবন ও দর্শন দেখতে হবে। তার বিশাল হৃদয়, সীমাহীন উদারতা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, নির্লোভ, অকুতোভয় সততা, আদর্শ, কঠিন ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সংগ্রামী জীবন। একটি জাতিকে সার্বিক নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সাংগঠনিক দক্ষতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ছিল তার। তাই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা বাঙালির ভালোবাসা নিয়ে তিনি খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু থেকে জাতির পিতার অভিধায় অভিষিক্ত হয়েছেন। স্বাধীন সার্বভৌম একটি ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তিনি সফল হয়েছেন। পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে উপহার দিয়েছেন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র। তিনি হয়ে উঠেছেন ইতিহাসের মহীরুহ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি রাষ্ট্রের উত্থান। যে স্বপ্ন বঙ্গবন্ধুকে ঘুমাতে দেয়নি। সেই স্বপ্ন পূরণে বঙ্গবন্ধু দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করেছেন, জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করেছেন, এমনকি ফাঁসির মঞ্চেও গিয়েছেন। বিভিন্ন লোভ-লালসাকে পদদলিত করে বাঙালির আরাধ্য পুরুষ শেখ মুজিব দেখিয়েছেন স্বাধীনতার পথ, শিখিয়েছেন অন্যায়ের প্রতিবাদ। বাঙালি জাতিকে পৌঁছে দিয়েছেন ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে স্বাধীনতার দ্বারপান্তে। বাঙালি হাজার বছর পরাধীন ছিল। বাঙালির হাজার বছরের দুঃখ বেদনা অত্যাচার, নির্যাতন, আশা আকাঙ্ক্ষা ও আবহমান বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে বঙ্গবন্ধু নিজের চেতনায় আত্মস্থ করেছেন। তার কণ্ঠে বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় আকাঙ্ক্ষা স্বাধীনতার ধ্বনি প্রতিধ্বনিত হয়েছে। শুধু বাংলাদেশই নয়- বিশ্বের নিপীড়িত, নির্যাতিত, শান্তিকামী মানুষের সার্থক প্রতিনিধি ছিলেন বঙ্গবন্ধু। শেখ মুজিব বাঙালি জাতীয়তাবাদের প্রধান প্রবক্তা ও স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি। বঙ্গবন্ধুর বড় কৃতিত্ব একটি ভাষাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। মুজিবের রাজনৈতিক জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল, বাংলার মানুষকে শোষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে বাংলার গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। পাকিস্তানির দুঃশাসনের হাত থেকে বাঙালি জাতির অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাকে অনেক দুঃখ-কষ্ট, জেল-জুলুম, নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এ জন্য তাকে যৌবনের অধিকাংশ সময় কাটাতে হয়েছে অন্ধ কারাগারের প্রকোষ্ঠে। আমরা যদি যুগ যুগ ধরে একটি লালিত বাঙালির স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের কথা ভাবী তাহলে ইতিহাসের আলোকে মুজিবকে সে রাষ্ট্র গঠনের নায়ক হিসেবে তাকে সম্মান দিতে হবে। কারণ তিনিই স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা ইতিহাস থেকে তার নাম মুছে ফেলার কম চেষ্টা ও ষড়যন্ত্র করা হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের গৌরব্বোজ্জ্বল ইতিহাস থেকে ষড়যন্ত্রকারীরা তার নাম মুছে ফেলতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনের সাফল্যকে কালো মেঘে ঢেকে দিতে ব্যর্থ হয়ে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক, স্থপতি না জনক এ বিতর্ক সৃষ্টি করে। পাকিস্তানি আমলে আমাদের পরিচয় ছিল পাকিস্তানি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাজার বছরের জাতিসত্তার পরিচয় তুলে ধরে ছিলেন সে পাকিস্তান আমলেই। তিনি পল্টনের এক জনসভায় বলেন, আজ থেকে এ ভূখন্ডের নাম বাংলাদেশ। আমাদের পরিচয় আমরা বাঙালি। মুজিবের এ ভাষণ তৎকালীন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ফিরে পেয়েছিল তাদের আত্মপরিচয়। বাহান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তর পর্যন্ত এ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাঙালি প্রেরণার শক্তি ছিল বঙ্গবন্ধুই। শেখ মুজিবের রাজনৈতিক দর্শন ছিল শাসন-শোষণের অবসান ঘটিয়ে বাঙালির জন্য একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। একটি ভাষাভিত্তিক, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে তিনি বিশ্বে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। সে ৫২'র ভাষা আন্দোলন থেকে ৭১'র মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি ছিলেন বাঙালির মধ্যমণি। বঙ্গবন্ধুর সমসাময়িক অনেক রাজনীতিবিদ ছিলেন কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করতে পারেনি। এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন জাদুকর। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তাই তিনি শুধু একজন মানুষ হিসেবেই নয় রাজনৈতিক দর্শনের প্রশ্নেও গোটা জাতিকে এমনভাবে এককাতারে নিয়ে এসেছেন যা ইতিহাসে খুবই বিরল ঘটনা। তবে সবচেয়ে বড় কথা তিনি একটি ঘুমন্ত জাতিকে জাগ্রত করতে পেরেছিলেন এবং শিখিয়েছিলেন অধিকার আদায়ের ভাষা। তার দৃঢ় রাজনৈতিক ভূমিকা দেশকে স্বাধীনতা সংগ্রামের শেষ সোপানটিতে পৌঁছে দেয়। তাই একথা আমাদের স্বীকার করতে হবে যে, এমন মহান ব্যক্তি যুগাবতার অনেক জাতির ভাগ্যে জোটেনি। একটি সাধারণ পরিবার থেকে বেড়ে ওঠা আপসহীন চরিত্র কীভাবে জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে নেতৃত্ব দিয়ে অসাধারণ চরিত্রে পরিণত হয় তা নতুন প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় ও বিস্ময়করও বটে। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম- একাত্তরের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর এ কালজয়ী ভাষণের পর তাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এ ভাষণেই বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল তাদের স্বাধীনতা। সমগ্র জাতি আনন্দে উজ্জীবিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের পবিত্র সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর বাঙালি জাতি বিজয় অর্জন করে। বঙ্গবন্ধু এ দেশের জনগণকে প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। বঙ্গবন্ধু গণমানুষের ভাষা বুঝতেন। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে বাংলাকে সোনার বাংলায় পরিণত করবেন এটাই তার স্বপ্ন ছিল। তিনি অনেকটা সফলও হয়েছিলেন। কিন্তু দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে খুনিরা সপরিবারে তাকে হত্যা করে। এক কলঙ্ক তিলক এঁকে দেয় ঘাতকরা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর পশ্চিম জার্মান নেতা উইলি ব্র্যান্ড বলেছিলেন, যে বাঙালি মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কিউবার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং কিংবদন্তি ও বিপস্নবী নেতা ফিদেল ক্যাস্ত্রো বলেছিলেন, 'আমি হিমালয় দেখিনি, কিন্তু শেখ মুজিবকে দেখেছি, ব্যক্তিত্ব ও সাহসিকতায় তিনি হিমালয়ের মতো।' যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনকেরি বলেন. 'সহিংস ও কাপুরুষোচিতভাবে বাংলাদেশের জনগণের মাঝ থেকে এমন প্রতিভাবান ও সাহসী নেতৃত্বকে সরিয়ে দেওয়া কী যে মর্মান্তিক ঘটনা'। তারপর ও বাংলাদেশ এখন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে তারই কন্যার নেতৃত্বে। মূলত মুজিবই বাঙালি জাতিসত্তা প্রতিষ্ঠায় ইতিহাসে বিংশ শতাব্দীর বাঙালির নবজাগরণের প্রতিভূ ছিলেন। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্মের ইতিহাসে তার নাম মিশে আছে বাঙালির মানসপটে, হৃদয়ের মণিকোঠায়। তিনিই বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস, হৃদয়ের স্পন্দন। বঙ্গবন্ধুকে চেনা ও জানার মধ্যদিয়ে বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আমাদের ধারণ করতে হবে। বাঙালির অফুরান ও প্রেরণার উৎস বঙ্গবন্ধু। ১৯২০ সালে ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান ও মা সাহেরা খাতুনের ঘর আলোকিত করে যে শিশুটির জন্ম হয় তিনিই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। চার বোন দু'ভাইয়ের মধ্যে শেখ মুজিব ছিলেন তৃতীয়। পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকা বাঙালি জাতির ভাগ্যাকাশে অন্ধকার দূরীভূত করতে তার জন্ম। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। তারপর সততা, দক্ষতা ও দূরদর্শী নেতৃত্বে তিনি ধাপে ধাপে সংঠনের প্রধান ও জাতীয় নেতায় পরিণত হন। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনটাই ছিল শৃঙ্খলা, নিয়মতান্ত্রিক ও আদর্শে পরিপূর্ণ। তাই বলা যায় বঙ্গবন্ধু নেতা হয়ে জন্মায়নি। সময়ের প্রয়োজনে একজন ছাত্রনেতা থেকে কীভাবে জাতীয় নেতায় পরিণত হলেন এ ধারাবাহিক নেতৃত্বের গুণাবলি আজকে তরুণ প্রজন্মকে অবশ্যই জানা দরকার। বর্তমান রাজনীতি দেখে মনে হয়, সবাই নেতা হতে চান। তাই দেখা যায় এক ধাপে কেউ একেবারে উপরে উঠে গেছেন। এটাকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি বলে না। রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ ঘটেছে অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত, মাস্তান, বিত্তশালী, ব্যবসায়ী ব্যক্তিদের। যার কারণে সাধারণ মানুষ প্রকৃতপক্ষে রাজনৈতিক সেবা থেকে বঞ্চিত হয়। তবে রাজনীতিতে এ ধরনের অনুপ্রবেশকারী বড় দুই দলেই রয়েছে। তৃণমূল থেকে রাজনীতির সাথে জড়িত না থেকেও হঠাৎ করে বড় রাজনৈতিক নেতা হয়েছেন। আগে রাজনীতিতে এ ধরনের কোনো ধারা ছিল না। বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন তখন পর্যন্ত রাজনীতি সঠিক পথেই ছিল। কিন্তু পঁচাত্তরের মর্মান্তিক ঘটনার পর রাজনীতির দৃশ্যপট পরিবর্তন হতে থাকে। অথচ অতীতে রাজনীতির মাঠে আমরা সেই মানুষকে দেখেছি যারা সাধারণ মানুষের অত্যন্ত কাছের ও প্রিয় ছিলেন। যারা মানুষকে ভালোবেসেছেন, সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু আমাদের স্বাধীনতার মহানায়কই ছিলেন না আমাদের বুকের ভিতর অসীম প্রেরণার উৎসও তিনি। বঙ্গবন্ধুর মতো আদর্শবাদী রাজনীতিক দৃঢ় মনোবল সম্পন্ন, ভয়ভীতিহীন নেতা শুধু বাংলাদেশ নয় দক্ষিণ এশিয়ায় আর আবির্ভূত হবেন না। বিশাল হৃদয়ের এ মানুষটি পৃথিবীর যেখানেই গেছেন সেখানেই সমাদৃত হয়েছেন, সম্মানিত হয়েছেন। বাহাত্তরে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে যখন তিনি লন্ডনে গেলেন তখন দিনটি ছিল ৮ জানুয়ারি শনিবার। ছুটির দিন হওয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের বাইরে চেকার্শে অবকাশ যাপন করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু মুজিবের প্রতি সম্মান জানাতে তিনি ছুটে এসেছিলেন ক্লারিস হোটেলে। ১০ ডাইনিং স্ট্রিট ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এডওয়ার্ড হিথ তাকে অভ্যর্থনা জানান। বাঙালি জাতির জীবনে কি এমন আবির্ভাব ঘটবে যাকে সম্মান জানানোর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে বঙ্গবন্ধুর গাড়ির দরজা খোলেন। কিন্তু সেই বিশাল হৃদয়ের মানুষটিকে যিনি ইতিহাসের বটবৃক্ষ ভাবেন তাকে অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতারা যেভাবে তাদের নিজস্ব বলয়ে রাখতে চান তা মোটেও ঠিক নয়। আমাদের মনে রাখা উচিত মুজিব কোনো দলের নেতা বা সম্পদ নয়। তিনি জাতীয় নেতা, জাতীয় সম্পদ। তাই সব ব্যক্তি ও সংগঠনের উচিত হবে এ মাপকাঠিতে তাকে মূল্যায়ন করা। ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ১০২তম জন্ম দিবস। তার জন্ম না হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা হয়তো কল্পনা করাও যেত না। তবে তিনি ত্রম্নটির ঊর্ধ্বে ছিলেন না। কিন্তু বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র উপহার দিয়ে বাঙালি জাতির বটবৃক্ষ, মহানায়কে পরিণত হয়েছেন। তিনি জীবন দিয়ে বাঙালি জাতির ভালোবাসার ঋণ পরিশোধ করে গেছেন। আজ জন্মদিনে তার আদর্শ ও মহিমান্বিত স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2