আজ বিদায় নিচ্ছেন নূরুল হুদা কমিশন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৪ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
পাঁচ বছর দায়িত্ব শেষে আজ বিদায় নিচ্ছে কে এম নূরুল হুদা নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের নির্বাচন কমিশন। যদিও বিদায়ের এই দিনটি ভালবাসা দিবস হিসেবেই উদযাপিত হলেও, এবারের কমিশনের সদস্যদের ভালোবাসার বদলে সমালোচনা সঙ্গী করেই যেতে হচ্ছে।
২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সার্চ কমিটির সুপারিশ করা ১০ জনের মধ্যে থেকে কে এম নূরুল হুদাকে সিইসি করে পাঁচ সদস্যের কমিশন নিয়োগ দেন। এরপর ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি দায়িত্ব নেন তারা।
এই কমিশনের সদস্যরা হলেন মাহবুব তালুকদার, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম ও শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। যদিও আপসহীন থাকার ঘোষণা দিয়ে দায়িত্ব নেয়া নূরুল হুদার কাজের মাধ্যমে নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ থাকলেও তিনি সেটা করতে বারবারই ব্যর্থ হয়েছেন। এর বদলে জুটেছে ‘দলকানা’, ‘আজ্ঞাবহ’, ‘মেরুদণ্ডহীন’, ‘খলনায়ক’ এমন সব অভিধা পেয়েছেন এই কর্মকর্তা।
এসবের পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগের মুখেও পড়তে হয়েছে এই ইসিকে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কমিশন গঠন করে এই ইসিকে বরখাস্তের আবেদনও জমা পড়েছিল রাষ্ট্রপতির কাছে। শেষ বেলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ টি এম শামসুল হুদার ইসির ‘পারফর্মেন্স সন্তোষজনক নয়’ বলে মূল্যায়ন অনেকটাই তাদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয়।
এত সব সমালোচনার মুখে আত্মপক্ষ সমর্থনে নূরুল হুদার যুক্তি, নির্বাচন কমিশনের মতো ‘জটিল’ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কারও ‘বাহবা পাওয়ার সুযোগ নেই’। এদিকে বিদায়ী এক অনুষ্ঠানে সিইসির দাবি করেন, বিগত পাঁচ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছে কমিশন। রোববার বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবলিত জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তারা এসব কথা বলেন।
তবে, গঠনের পর থেকেই এই কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক ছিল। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচন এই কমিশনরে অধীনে হয়। জাতীয় নির্বাচন এছাড়াও বিভিন্ন পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন এবং সবশেষ ৪ হাজার ১শ ৩৬ ইউনিয়ন পরিষদে ভোট এই কমিশন অধীনে অনুষ্ঠিত হয়। আজ বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে কমিশনের ৫ বছরের আমলনামা তুলে ধরার কথা রয়েছে। নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়োগে সার্চ কমিটি কাজ করছে।