ব্যক্তিমালিকানাধীন বড় গাছ কাটতেও সরকারের অনুমতি লাগবে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৮ ফেব্রুয়ারী,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ১০:৩৭ পিএম, ২৪ ডিসেম্বর,মঙ্গলবার,২০২৪
‘বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন আইন, ২০২২’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইনে সব ধরনের বন সংরক্ষণের বিধান রাখা হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া খসড়া আইনে ব্যক্তিমালিকানায় লাগানো বড় গাছ কাটতেও সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে খসড়া এই আইনটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিসভা কক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা মন্ত্রিসভার এই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, এ আইনের মাধ্যমে দেশের সব বনাঞ্চলকে প্রটেকশন দেওয়া হয়েছে। সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে লাগানো যে গাছ রয়েছে সেগুলোও এর আওতায় আসবে। এখানে বুঝতে হবে, স্থায়ী গাছের কথা বলা হয়েছে। সচিব বলেন, মানুষের সাধারণ বাগানের স্থায়ী গাছ তারা তাদের ইচ্ছামতো কাটতে পারবে না। স্থানীয় অথরিটির অনুমতি নিয়ে কাটতে হবে। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই এমন আইন রয়েছে।
তিনি বলেন, ফরেস্ট ইন্ডাস্ট্রি ডেভেলপমেন্ট অর্ডিন্যান্স ছিল ১৯৫৯-এর। সেটাকে হালনাগাদ করে আইন হিসেবে নেওয়া হয়েছিল। অনেক বিষয় আছে। যেমন- এটা একটা করপোরেশন হবে। করপোরেশনের একজন চেয়ারম্যান এবং পরিচালক থাকবেন। তারা এটাকে প্রশাসনিকভাবে দেখবেন। বোর্ড থাকবে, সেটা নীতিগত বিষয়গুলো তদারকি করবে। এর কাজ হবে করপোরেশনের অধীনে উৎপাদিত কাঠ বা কাঠের আসবাবপত্র আইনের অধীনে আসবে। করপোরেশনের অধীনে রাবার বাগান থেকে রাবার কীভাবে আহরণ করা যায় এবং উন্নয়ন করা যায় তা এর মধ্যে থাকবে। বনজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন কৃত্রিম রাবার পণ্য বন্ধে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব শিল্প সৃষ্টির বিষয়টি এখানে থাকবে।