করোনা মহামারিতে বাল্যবিয়ের হিড়িক
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫:৩২ পিএম, ১৭ জানুয়ারী,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ০৫:০৭ পিএম, ২১ ডিসেম্বর,শনিবার,২০২৪
কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বজুড়েই রয়েছে আক্রান্ত হওয়া আর প্রাণহানির আতঙ্ক। এর থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে অর্থনৈতিক ঝুঁকি। সারা দেশেই বাড়তে থাকবে দারিদ্র্যের প্রবণতা।
শহরের দিনমজুর, রেস্টুরেন্টকর্মী, ক্ষুদ্র ভাসমান ব্যবসায়ীসহ খেটে খাওয়া মানুষেরা এই সময়ে সবচেয়ে বড় বিপদে পড়তে চলেছেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে আগামী দুই বছরে অন্তত ৪০ লাখ মেয়ে শিশু বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে পড়বে। এর পেছনে স্কুল বন্ধ থাকা, দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়াসহ করোনা সম্পর্কিত নানা কারণ জড়িত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের বাল্যবিয়ে বিশেষজ্ঞ এরিকা হল বলেন, ‘যখন দুর্যোগ বা মহামারির মতো কোনও সংকট তৈরি হয় তখন বাল্যবিয়ের হার বেড়ে যায়। বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাছাড়া লকডাউনের কারণে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে রোধের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।
মহামারীর কারণে মেয়েদের কাছে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোতেও বিঘ্ন ঘটছে। এতে অনেক তরুণীরই অসময়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
ফেইথের মতে, করোনা মহামারি শেষ হলেও অনেক মেয়ে শিশু স্কুলে আর না-ও ফিরতে পারে। এটা সত্যিই উদ্বেগজনক। এ বিষয়ে এখনই পদক্ষেপ নেয়া জরুরি।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে আগামী এক দশকে আরও ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হবে।
এরিকা হল জানান, দক্ষিণ সুদান, আফগানিস্তান ও ভারতে অকল্পনীয় হারে বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ার প্রমাণ পেয়েছেন।
বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ মেয়ে শিশু ১৮ বছরের আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে বাধ্য হয়। অর্থাৎ প্রতি তিন সেকেন্ডে একটি মেয়ে শিশুর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে।