ভাস্কর্য স্থাপনে ইসলামে বিধিনিষেধ নেই: হাক্কানি আলেম সমাজ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৪:০১ এএম, ১৪ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ১০:৩১ এএম, ২০ ডিসেম্বর,শুক্রবার,২০২৪
হাক্কানী আলেম সমাজের নেতারা বলেছেন, ভাস্কর্য স্থাপনে ইসলামের কোনো বিধি নিষেধ নেই। ভাস্কর্য ও মূর্তি দুটো আলাদা জিনিস। এ নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন হেফাজত নেতারা। রোববার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।
হাক্কানী আলেম ও মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, ভাস্কর্যের কয়েকটি দিক আছে। ভাস্কর্যের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক দিক আছে। ধর্মীয় দিক থেকে বলতে গেলে, আমরা আমাদের ছোট শিশুদের পুতুল কিনে দিই। সেটা কিন্তু ভাস্কর্যের অংশ বিশেষ। আমাদের প্রিয়জনদের ছবি আমরা ঘরে টানিয়ে রাখি, সেটাও ভাস্কর্যের অংশ। হেফাজত ভাস্কর্য নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছে, তার মধ্যে একটি বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে।
তিনি আরও বলেন, ভাস্কর্য জায়েজ- এই কথা আমি বলছি না। কিন্তু বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা তো ইসলাম সমর্থন করে না। মামুনুল হকের পিতা আল্লামা শায়খুল হাদিসকে নিয়ে আমরা কওমি স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু কন্যা আমাদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমরা তাকে কওমি জননী বললাম। জননীর সঙ্গে সন্তানের সম্পর্ক হবে মধুর। আমাকে কিছু বললেও সংবাদ সম্মেলন করে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে মায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি না। কিন্তু আজকে হেফাজতে ইসলাম ইসলামের হেফাজতকারী হয়ে এরকম করছে।’
তিনি বলেন, এ জাতির প্রতি বঙ্গবন্ধুর অবদানের কথা স্মরণ করে দেওয়ার অংশ হিসেবেই তার ভাস্কর্য স্থাপন করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব। ভাস্কর্য অনেক সময় চেতনাকে বাড়িয়ে দেয়। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। পদ্মা সেতু যেটা আগে আমরা কল্পনাও করতে পারিনি, সেটাও এখন বাস্তব। ভাস্কর্যকে উপাসনা করলে সেটা শিরক হবে। আমরা তো মূর্তি পূজা করি না। মূর্তিকে ইবাদত করা হয়, ভাস্কর্যকে না।