আবারও উত্তপ্ত রোহিঙ্গা শিবির : এক কিশোরী নিহত, অপরজন গুলিবিদ্ধ
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৪ অক্টোবর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
রোহিঙ্গা শিবির আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল আল-ইয়াকিন সদস্যদের গুলিতে এক কিশোরী নিহত ও একজন নারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গত বছর সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহর বিচার শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই আল-ইয়াকিন গ্রুপের দাপটে শিবিরের সাধারণ রোহিঙ্গারা অসহায় হয়ে পড়েছে। মুহিব উল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ জন আল-ইয়াকিন সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে বিচারকাজ চলছে।
গত কয়েক দিন ধরে সন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা শিবিরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তুলেছে। বিশেষ করে কুতুপালং ও বালুখালী শিবিরে প্রতিরাতে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটছে। সোমবার (৩ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বালুখালী ৮ নম্বর, ময়নার ঘোনার ১৮ নম্বর এবং কুতুপালং ৬ ও ৭ নম্বর শিবিরে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করেছে সন্ত্রাসীরা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, সোমবার রাতে আল-ইয়াকিন সন্ত্রাসীরা গুলি করে ১১ বছরের এক কিশোরীকে হত্যা করেছে। নিহত কিশোরীর নাম তাসদিয়া আকতার। সে ১৮ নম্বর শিবিরের এইচ ৫২ নম্বর ব্লকের মোহাম্মদ ইয়াছিনের কন্যা। এ সময় আরো গুলিবিদ্ধ হয় নিহত কিশোরীর ভাবি দিল কায়াছ (১৮)। তার স্বামীর নাম মোহাম্মদ নূর। গুলিবিদ্ধ নারী দিল কায়াছকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আল-ইয়াকিন সদস্যরা মোহাম্মদ নূরকে না পেয়ে তার স্ত্রী ও কিশোরীকে গুলি করে।
রোহিঙ্গারা জানান, রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ হত্যার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযান চালিয়ে আল-ইয়াকিন গ্রুপের অনেকজন সদস্যকে আটক করেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের যারা আল-ইয়াকিনের তথ্য দিয়েছেন, সেসব রোহিঙ্গাকে ধরে ধরে হত্যা করেছে আল-ইয়াকিন। কয়েক দিন আগে বালুখালী শিবিরের মোহাম্মদ হাশিম নামের এক তরুণ রোহিঙ্গা হাতে পিস্তল নিয়ে নিজেই শিবিরের চারজন মাঝিকে হত্যার কথা স্বীকার করে এক ভিডিওবার্তা প্রকাশ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা জানান, আল-ইয়াকিন সদস্যরা এত দিন ঘাপটি মেরে ছিল। রোহিঙ্গা শিবিরের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) এক কর্মকর্তা আল-ইয়াকিনকে দমাতে মরিয়া হয়ে অভিযান চালিয়েছিলেন। এই কর্মকর্তা ছিলেন আল-ইয়াকিনের কাছে এক আতঙ্ক। কিছুদিন আগে তিনি অন্যত্র বদলি হয়েছেন। এরপর আল-ইয়াকিন সন্ত্রাসীরা আবারও নির্ভয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড শুরু করেছে।