শোক মিছিলে মহিলা আ.লীগের মারামারি, ভিডিও ভাইরাল
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৬ আগস্ট,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:৪৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
জাতীয় শোক দিবসের মিছিলে কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মিছিলে কে সামনে থাকবে, আর কে থাকবে না- এ নিয়েই মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেছেন ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী। সোমবার বেলা ১১টার দিকে দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এই ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে এ ঘটনার ৪৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গন থেকে জাতীয় শোক দিবসের মিছিল বের হয়। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দেবীদ্বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক উন নবী তালুকদার, থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাস্টার, সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম সফিকুল আলম কামাল ওরফে ভিপি কামালসহ আরো কয়েকজন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, র্যালিটি দেবীদ্বার বাজার এলাকা ঘুরে উপজেলা পরিষদের হলরুমে ফেরার সময় পেছন দিকে হঠাৎ কে সামনে যাবেন, আর কে পেছনে থাকবেন- এ নিয়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হয় উপজেলা যুব মহিলা লীগের কয়েকজন সদস্যদের মধ্যে। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। পরে মিছিলের নেতৃত্বে থাকা লোকজন তাঁদের শান্ত করেন।
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, বাগবিতণ্ডা এক পর্যায়ে দেবীদ্বার উপজেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য লিপি আক্তারের ওপর হামলা করে তাকে মারধর শুরু করেন আরেক সদস্য সুমি আক্তার। এ সময় সুমি আক্তারের সঙ্গে অন্যরাও যোগ দেন। ঘটনার সময় পাশেই ছিলেন কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন সুলতানা ও সদস্য বিথি আক্তার।
সোমবার রাতে ঘটনার বিষয়ে জানতে লিপি আক্তার ও সুমি আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন সুলতানা ঘটনার সময় পাশেই ছিলেন। কী নিয়ে এই মারামারি ও হাতাহাতি হয়েছে, সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন। ঘটনার সময় আমি শোক মিছিলের সামনে ছিলাম। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন সুলতানা বলেন, আমার এক কর্মীর সঙ্গে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সাথে আসা এক নারীর বাগবিতণ্ডা হয়েছে। বিষয়টি তেমন বড় কোন ঘটনা না। আমি তাৎক্ষণিক তাদের শান্ত করেছি।
দেবিদ্বার থানার ওসি কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, ঘটনাটির বিষয়ে এখনো কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।