সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন বিআরটিএ কর্মকর্তা!
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৯ মে,বৃহস্পতিবার,২০২২ | আপডেট: ০৭:০২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সংস্থা (বিআরটিএ) বান্দরবান কার্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করার সময় এক সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ কার্যালয়টির মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদের বিরুদ্ধে।
মোবাইলফোনটি কেড়ে নেওয়ার পর সেটি আনলক করে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও, ছবি মুছে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। বুধবার (১৮ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্দরবান সদরের বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেল কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। অভিযোগকারী সাংবাদিকের নাম নয়ন চক্রবর্তী। তিনি অনলাইন নিউজপোর্টাল বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
সাংবাদিক নয়ন চক্রবর্তী জানান, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য বিআরটিএ বান্দরবান কার্যালয়ে দু’বছর ধরে হয়রানি শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশি এক ব্যক্তি। এরই মধ্যে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে বাড়তি তিন হাজার টাকাও নেওয়া হয়েছে। তারপরও লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না— এমন অভিযোগ পেয়ে ভুক্তভোগী ও আমি বিআরটিএ বান্দরবান সার্কেল কার্যালয়ে যাই। এ সময় ভুক্তভোগী লাইসেন্সের ব্যাপারে জানতে চাইলে বিআরটিএ কর্মকর্তারা কোনো সুদত্তর দিতে না পারলে আমি ছবি ও ভিডিও সংগ্রহ শুরু করি। এমন সময় আমার হাত থেকে মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে নেন বিআরটিএ’র মোটরযান পরিদর্শক মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ। এ সময় তিনি আমার ফোনটি আনলক করে সেটি থেকে গুরুত্বপূণ কিছু ছবি ও ভিডিও ডিলিট করে দেন। এছাড়া তিনি থানায় ফোন করে আমাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারি অফিসে এসে পরিচয় ছাড়া এবং কারও অনুমতি না নিয়েই ভিডিও ধারণ শুরু করেন এক ব্যক্তি। তাকে নিষেধ করা হলেও তিনি কোনো কথা না শুনে ভিডিও করতে থাকেন। এ সময় তার হাত থেকে মোবাইলফোনটি নিয়ে নেই এবং বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাই। পরে তাকে সরকারি অফিসে পরিচয় ছাড়া প্রবেশ করে অনুমতি ছাড়া ছবি ও ভিডিও ধারণের কারণে সদর থানায় হস্তান্তর করি।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল বলেন, বিআরটিএ বান্দরবানের কর্মকর্তারা থানায় খবর দিলে নয়ন চক্রবর্তী নামে একজনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে তার পরিচয় এবং তথ্য সংগ্রহ করে বিষয়টি তদন্ত করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।