নির্মমভাবে মার খাওয়া সেই প্রবাসী মঞ্জুর মারা গেছে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ২৩ মে,রবিবার,২০২১ | আপডেট: ১১:৩২ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
১২ ঘন্টা চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও এর মাইজ পাড়ায় স্ত্রীসসহ শশুর বাড়ির লোকজনের হাতে নিষ্ঠুর ও নির্মমভাবে মার খাওয়া প্রবাসী মঞ্জুর আলম (৪৫)।
শনিবার (২২ মে) বেলা ১২ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। তিনি ঈদগাঁওয়ের কালিরছড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির পুত্র।
জানা গেছে, গত শুক্রবার ঈদগাঁও এর মাইজ পাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের বাবা, মা, ভাই বোনসহ সবাই মিলে দিন দুপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে মঞ্জুর আলমকে নির্মমভাবে মারধর করে রাস্তায় ফেলে রাখে। এ সময় প্রতিবেশীরা আশংকাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেন। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার তাকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
পরে ঈদগাঁও থানার একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে হামলাকারীদের আটক করে। ওইদিন রাতে কক্সবাজার জেলা পুলিশের এক বার্তায় এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পুলিশের ওই বার্তায় জানানো হয়, ঈদগাঁওয়ের কালিরছড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গনির ছেলে মঞ্জুর আলম (৪৫) দীর্ঘদিন প্রবাসে কাটিয়েছেন। প্রবাস জীবনে যা আয় করেছেন তা বাংলাদেশে অবস্থানরত তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রুনা আক্তারের নামে পাঠাতেন।
তাঁর ওই স্ত্রী নিজের নামে কিনেছেন জমি। আর সেখানেই বানিয়েছেন বহুতল ভবনও। সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির কারণে ছুটিতে আসার পর আর বিদেশ যাওয়া হয়নি মঞ্জুর আলমের। এরই মধ্যে স্বামী স্ত্রীর মাঝে পারিবারিক কলহ দেখা দেয়। স্বামীর সাথে দূরত্ব বাড়াতে থাকেন স্ত্রী রুনার।
এক পর্যায়ে শুক্রবার (২১মে) বাবা, মা, ভাই বোনসহ সবাই মিলে দিন দুপুরে হত্যার উদ্দেশ্যে মঞ্জুর আলমকে নির্মমভাবে মারধর করে।
পুলিশের বার্তায় আরো বলা হয়েছে, প্রত্যক্ষদর্শী একজন উক্ত মারধরের ঘটনার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করলে বিষয়টি জেলা পুলিশের নজরে আসে।
এতে তাৎক্ষনিক জেলার ঈদগাঁও থানা পুলিশের একটি টিম মঞ্জুরের স্ত্রীসহ উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার করে।