তক্ষক কিনতে গিয়ে নিখোঁজ, এক বছর পর কঙ্কাল উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:২৪ পিএম, ২০ নভেম্বর,শুক্রবার,২০২০ | আপডেট: ০৬:৪৯ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
তক্ষক কিনতে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে এক বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন এনজিও কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন (৩৭)। শেষপর্যন্ত তার কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী বাগানবাজার ইউনিয়নের নুরপুর এলাকায় জঙ্গলের ভেতর থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করে পিবিআই।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হোসেন বলেন, হেলাল উদ্দিন রাজধানীর মুগদা থানার মদিনাবাগ এলাকার বাসিন্দা। তিনি সেতুবন্ধন নামে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মদিনাবাগ শাখার ব্যবস্থাপক ছিলেন।
তার পরিবার জানিয়েছে, গত বছরের ১৮ নভেম্বর তক্ষক কেনার জন্য ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের ভুজপুরে এসে নিখোঁজ হন হেলাল। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ৬ ডিসেম্বর হেলালের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা পিংকি ভুজপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পিবিআই কর্মকর্তা নাজমুল হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে চলতি বছরের ২৩ জুলাই রামগড় বাগানবাজার এলাকার যাত্রী বহনকারী মোটরসাইকেল চালক জাকির হোসেন রুবেলকে (২৪) গ্রেফতার করে পিবিআই। ২৫ জুলাই রুবেল চট্টগ্রামের একটি আদালতে জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে রুবেল জানান, গত বছরের ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে বাগানবাজার ইউনিয়নের লালমাই গ্রামের জনৈক ‘রাজা ভাই’ তাকে বলেন, পার্শ্ববর্তী চিকনছড়া বাজারে হেলাল নামে এক লোক এসেছেন, তাকে যেন মোটরসাইকেলে করে তার (রাজা) বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
রুবেল যখন হেলালকে নিয়ে রাজা ভাইয়ের বাড়িতে যান, সেখানে ইসমাইল, সাদ্দাম ও বিল্লালকে দেখেন। এরপর তিনি তাকে সেখানে রেখে চলে আসেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তক্ষকের ক্রেতা সেজে ফাঁদে ফেলে পিবিআই টিম বুধবার বিল্লালকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিল্লাল জানান, হেলালকে হত্যা করে লাশ খাগড়াছড়ির কাছে ফটিকছড়ির বাগানবাজার ইউনিয়নের নুরপুর এলাকার পাহাড়ে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। তক্ষকের দামে বনিবনা না হওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে জানায় বিল্লাল।
এরপর বুধবার বৃহস্পতিবার দুপুরে পিবিআই সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গর্ত থেকে মাটি অপসারণের পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ভেতর থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।