avertisements 2

কুষ্টিয়ার জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে ১১ বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতি

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:৪০ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর,সোমবার,২০২০ | আপডেট: ০৫:৫৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪

Text

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরকারীদের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) দেওয়া বক্তব্যের সমর্থন জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ১১ জন নাগরিক। একইসঙ্গে এসপির হুমকিদাতাদের গ্রেফতারের দাবি জানান তারা।

রবিবার (২৭ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিশিষ্ট এই নাগরিকরা বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।’

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধু ও বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর ইস্যুতে জেলার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত একটি বক্তব্য দিয়েছেন। ইউটিইবে ছড়িয়ে পড়া বক্তব্য আরও অনেকের মতো আমাদেরও শোনার সুযোগ হয়েছে। আমরা মনে করি, এই পুলিশ কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পক্ষেই কথা বলেছেন। ভাস্কর্য ইস্যুতে দেওয়া তার বক্তব্য বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও অস্ত্র হাতে লড়াই করে পাওয়া বাংলাদেশের মৌল চাওয়াগুলোকে আরও একবার স্পষ্ট করেছে। একইভাবে এসপির বক্তব্যের বিরুদ্ধে দেওয়া হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য ও বিবৃতি তাদের একাত্তরের চেতনাবিরোধী অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সবারই জানা আছে— ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল বাংলাদেশ পুলিশ। রাজারবাগে ইতিহাস সৃষ্টি করা সেই বিদ্রোহী চেতনাই কুষ্টিয়ার এসপির বক্তব্যে লক্ষ্য করেছি আমরা। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের পক্ষে সচেতন এবং সুদৃঢ় অবস্থান তুলে ধরেছেন তিনি।’

‘এসপির বক্তব্যের বিরোধিতাকারী এ অংশটিকে আমরা খুব ভালোভাবে চিনি। এরা একাত্তরের পরাজিত অপশক্তি। বর্বর পাকিস্তানিদের প্রজন্ম। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয়ে সামনে আসে। কখনও জামায়াত-শিবির। কখনোবা হেফাজত। এরা আজও বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। এই কারণে এরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার দুঃসাহস দেখিয়েছে। এরপর আর এদের কোনও ছাড় দেওয়া যায় না। এ কারণেই এসপি এই উগ্রবাদীদের চূড়ান্তভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন বলে আমরা মনে করি।’

নাট্য ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফের পাঠানো বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকরা আরও  বলেন, ‘অথচ আমরা দেখছি, উগ্রবাদীরা সতর্ক না হয়ে উল্টো এসপির বক্তব্যকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছেন। বিষোধগার করছেন। হুমকি দিচ্ছেন। এর কারণ আর কিছু নয়, ভাস্কর্য ভাঙচুর ও নেপথ্যে থাকা ব্যক্তিদের গ্রেফতারের ইস্যুটি থেকে জনগণের দৃষ্টি অন্য দিকে সরানোর কৌশলী চেষ্টামাত্র। এ অবস্থায় হুমিকদাতাদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানাই আমরা।’

‘একইসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব শ্রেণি ও পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাই।’

বিবৃতিদাতারা হলেন— ১. সারোয়ার আলী, ২. রামেন্দু মজুমদার, ৩. আবদুস সেলিম, ৪. মামুনুর রশীদ, ৫. মফিদুল হক ৬. শাহরিয়ার কবীর, ৭. মুনতাসীর মামুন, ৮. নাসিরউদ্দীন ই

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2