avertisements 2

খুলনা সদর আসনে মঞ্জুকে সবুজ সংকেত তারেক রহমানের

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ৩ নভেম্বর,সোমবার,২০২৫ | আপডেট: ০৭:২৩ পিএম, ৩ নভেম্বর,সোমবার,২০২৫

Text

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ (সদর) আসনে বিএনপির প্রার্থী হচ্ছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও এমপি নজরুল ইসলাম মঞ্জু।

রোববার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে দুটি পোস্ট দেন তিনি।

প্রথম পোস্টে মঞ্জু লেখেন, মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি শুকরিয়া। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-২ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সবাইকে নিয়ে কাজ শুরু করতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনার জন্য তার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

পরের পোস্টে মঞ্জু লেখেন, দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তি নিয়ে উল্লাস প্রকাশ, আনন্দমিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা নিষেধ। এছাড়া কাউকে খাটো করা, বিদ্বেষ পোষণ করা, ‘এবার দেখে নেব’ এ ধরনের উক্তি বা ভাব পোষণ করা থেকে বিরত থাকার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশনা মেনে চলব আমরা সবাই।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু আমার দেশকে বলেন, আজ (রোববার) বিকালে তারেক রহমান সরাসরি ফোনকল দেন। কল দিয়ে তিনি পক্ষ-বিপক্ষ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনি প্রস্তুতি শুরুর নির্দেশনা দেন। তারেক রহমান আগামী নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান মঞ্জু।

নজরুল ইসলাম মঞ্জুর প্রায় ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনের এমন পরিণতি মানতে পারেননি দলটির নেতাকর্মীদের অনেকেই। এক দিন পরই শুরু হয় গণপদত্যাগ। ওই সময় খুলনা মহানগর বিএনপি, পাঁচ থানা ও ওয়ার্ড কমিটি থেকে পাঁচ শতাধিক নেতা পদত্যাগ করেন। এরপর ৩ বছর ধরে বিএনপির সব ধরনের পদ-পদবীর বাইরে নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও তাঁর অনুসারীরা। 

বর্তমান মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটিতে তাদের কারও জায়গা হয়নি। ওয়ার্ডের নতুন কমিটি থেকেও বাদ পড়েছেন তারা। তারপরও কেন্দ্র ঘোষিত প্রতিটি কর্মসূচি ও বড় সমাবেশে তিনি কর্মীদের নিয়ে নিয়মিত অংশ নেন। জুলাই অভ্যুত্থানেও তিনি রাজপথে সরব ছিলেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘পদ ছিল না, কিন্তু নজরুল ইসলাম মঞ্জু রাজপথেই ছিলেন। দলের কর্মসূচিতে গিয়ে তার গাড়িতে হামলা হয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে। তারপরও তিনি মাঠ ছাড়েননি। তারেক রহমানের ফোনের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো রাজপথ কখনও বেঈমানী করে না।’

তবে খুলনা মহানগর বিএনপির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, ‘ফোনের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। প্রার্থিতার বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।’ 
 

বিষয়:

আরও পড়ুন

avertisements 2