স্ত্রীর নির্যাতন-হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে স্বামীর মানববন্ধন
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৮:১৩ পিএম, ২২ নভেম্বর,রবিবার,২০২০ | আপডেট: ০৮:৪৭ এএম, ১৯ ডিসেম্বর,বৃহস্পতিবার,২০২৪
নড়াইলের লোহাগড়ায় স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতন, মিথ্যা অভিযোগে হয়রানি ও স্বর্ণসহ টাকা-পয়সা আত্মসাতের অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী। এ সময় বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীও তার সঙ্গে যোগ দেন। পরে প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী স্বামী। শনিবার (২১ নভেম্বর) বেলা ১১টায় লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের জয়পুর কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ভুক্তভোগী ওই ব্যক্তির নাম আফজাল হোসেন (৪৬)। স্ত্রী মিনা বেগমের (৩৬) বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন তিনি।
মানববন্ধনে আফজাল হোসেন বলেন, ‘আমার স্ত্রী মিনা বেগম বেশ কিছুদিন আগে আমার বাড়ি থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মূল্যবান আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যান। এরপর ভুয়া তালাকনামা পাঠিয়ে আমার নামে প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য-সম্বলিত অভিযোগ দায়েরসহ মামলা করে হয়রানি করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসারে থাকাকালীন মিনা বেগম আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। এখন তার হুমকিতে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে নিয়ে আমাকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আমি ওই নারীর ষড়যন্ত্র থেকে মুক্তি চাই।’
লোহাগড়া পৌরসভার জয়পুর গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে আফজাল হোসেন আরও জানান, ২০০৮ সালে নড়াইল সদর উপজেলার চিলগাছা রঘুনাথপুর গ্রামের আয়ুব মোল্যার মেয়ে মিনার সঙ্গে আমার বিয়ে হয়। এর আগেও মিনার দুটি বিয়ে হয়েছিল। ব্যবসার কাজে বাইরে গত ১ জুন তিনি সস্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করেন এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, ফ্রিজসহ দামি আসবাবপত্র নিয়ে যান।
‘আমি এ ঘটনায় লোহাগড়া থানায় গত ২৬ জুন মামলা দায়ের করি। মামলা নম্বর-২১। মামলাটি আদালতে বিচারাধীন। মিনা বেগম ও তার সমর্থিত সন্ত্রাসী বাহিনী বিভিন্নভাবে আমাকে ও আমার মেয়েকে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। আমি ওই নারীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতা চাই।’
মানববন্ধনে আফজালের তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে বলে, ‘আমার মা মিথ্যা কথা বলে সোনাদানা, টাকা নিয়ে চলে গেছে। আব্বার নামে মিথ্যা অভিযোগ করেছে।’
জয়পুর গ্রামের লাকী বেগম বলেন, ‘মিনা মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আফজাল হোসেনকে হয়রানি করছেন।’
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর বিশ্বনাথ দাস ভুন্ডুল, প্রভাষ মো. তজিবর রহমান, শাহরিয়ার মারুফ, আলী সিকদার, সাবেক ইউপি সদস্য মো. টুকু সিকদার প্রমুখ। অভিযোগের বিষয়ে জানতে মিনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।