লিভ-ইন পার্টনারকে ৩৫ টুকরো করে ‘ছিটালেন’ শহরে
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৫ নভেম্বর,মঙ্গলবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২৯ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
সংগৃহীত ছবি
এক তরুণীকে খুন করে তার দেহ কুপিয়ে ৩৫ টুকরো করা হয়েছে। সেই টুকরোগুলো ফেলা হয়েছে দিল্লির নানা জায়গায়। ১৮ মে এই ঘটনা ঘটে। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। পরিবারের লোকজনের বয়ান নেয় তারা। পরে পুলিশ এর পেছনের ঘটনা জানতে পারে। ধরা পড়ে অপরাধী। হত্যাকারীর নাম আফতাব আমিন পুনাওয়ালা যিনি ওই তরুণীরই প্রেমিক ছিলেন।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃত তরুণীর নাম শ্রদ্ধা (২৬)। মুম্বাইয়ের একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির কল সেন্টারে কাজ করতেন তিনি। দিল্লির বাসিন্দা আফতাবের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। মুম্বাই থেকে দিল্লিতে এসে আফতাবের সঙ্গে থাকতে শুরু করেন তিনি।
তারা লিভ-ইন পার্টনার ছিলেন বলে জানা গেছে। মেহরুলিতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে আফতাব আর শ্রদ্ধা থাকতেন। তদন্তকারীদের মতে, হত্যাকারীকে জেরা করে জানা গেছে, প্রায়ই তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে ঝামেলা লেগে লাগত।
একদিন ঝগড়ার সময় রাগের মাথায় শ্রদ্ধাকে গলা টিপে খুন করে আফতাব। শ্রদ্ধার শরীর নিথর হয়ে গেলে আফতাব ভয় পেয়ে যায়। অপরাধ লুকাতে মেয়েটির দেহ ৩৫ টুকরো করে কেটে ফেলে। এরপর বড় একটি ফ্রিজার কিনে এনে তার মধ্যে টুকরোগুলো রেখে দেয়।
এরপর সময় বুঝে দিল্লির নানা জায়গায় সেই টুকরোগুলো ফেলে দিয়ে আসে।
এইভাবে অপরাধ ধামাচাপা পড়ে যাবে বলে ভেবেছিল আফতাব। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি তার। শ্রদ্ধার বাবা বিকাশ মদন থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার কথা জানান।
তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন, ১৮ মে শ্রদ্ধার সঙ্গে শেষ কথা হয়। তারপর মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি তারা। ফোনও বন্ধ ছিল। তাই শেষে দিল্লিতে এসে শ্রদ্ধা যে ফ্ল্যাটে থাকতেন সেখানে গিয়ে দেখেন দরজায় তালা বন্ধ। কোনও বিপদ হয়েছে বুঝে পুলিশকে সব জানান তিনি।
শ্রদ্ধাকে খুঁজতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। এদিকে আফতাবের খোঁজও শুরু হয়। এরপরেই রহস্যের জাল উন্মোচন হয়। ভয়ঙ্কর সত্য জানতে পারে পুলিশ।
ধৃত আফতাব স্বীকার করেছেন, খুনটা সেই করেছে। শ্রদ্ধা তাকে বিয়ে করতে চাইছিল, আর সে রাজি ছিল না। এই নিয়ে অশান্তি চলছিল তাদের মধ্যে। তাই রাগের মাথায় শ্রদ্ধার খুন করে আফতাব।