১৮ বছর ধরে বিমানবন্দরে বসবাস, মৃত্যুও হলো সেখানেই
ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১২:০০ এএম, ১৩ নভেম্বর,রবিবার,২০২২ | আপডেট: ০৬:২২ এএম, ২৫ ডিসেম্বর,
বুধবার,২০২৪
বিমানবন্দরের টার্মিনালে মেহরন কারিমি নাসেরি
ইরানের সুপরিচিত নির্বাসিত ব্যক্তি মেহরন কারিমি নাসেরি মারা গেছেন। ফ্রান্সের চার্লস দ্য গোল বিমানবন্দরের টার্মিনালে টানা ১৮ বছর বসবাস করেছিলেন নাসেরি। তার মৃত্যুও এই বিমানবন্দরেই হয়েছে। জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে আবারও ফ্রান্সের এ বিমানবন্দরটিতে বসবাস শুরু করেছিলেন এ ইরানি নাগরিক।
সংবাদমাধ্যম ভ্যারাইটির বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, চার্লস দ্য গোল বিমানবন্দরের টার্মিনাল-২ এ শনিবার হার্ট অ্যাটাকে মারা যান নাসেরি।
১৯৮৮ সালে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য গিয়েছিলেন নাসেরি। কিন্তু তাকে বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়। এর প্রতিবাদে বিমানবন্দরের টার্মিনালে বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৮৮ সাল থেকে শুরু করে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা ১৮ বছর টার্মিনালে থাকার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে ২০০৬ সালে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নাসেরির জীবনের গল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চলচ্চিত্র নির্মাতা স্টেভেন স্পাইবার্গ ২০০৪ সালে নির্মাণ করেন ‘দ্য টার্মিনাল’ নামের বিখ্যাত ছবি। তার চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছিলেন টম হ্যাংকস। সেখানে টম হ্যাংকসকে পূর্ব ইউরোপের একজন ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছিল। যিনি যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে আসেন। কিন্তু আশ্রয় না দেওয়ায় জন এফ কেনেডি বিমানবন্দরে বসবাস শুরু করেন তিনি।
এছাড়া ১৯৯৩ সালে নাসেরির জীবনের গল্প নিয়ে একটি ফরাসি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, ইরানি আলোচিত নির্বাসিত ব্যক্তি নাসেরি ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা ছিলেন স্কটিশ। তা সত্ত্বেও তাকে ফ্রান্সে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি।
আশ্রয় প্রত্যাশী নাসেরি বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায় বই পড়ে ও লেখালেখি করে সময় পার করতেন। তাকে নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিনে অসংখ্যবার লেখালেখি হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি আবার বিমানবন্দরে ফিরে আসেন এবং সেখানেই তিনি মারা যান। এ সময় তার কাছে কয়েক হাজার ইউরো পাওয়া যায়।
সূত্র: এনডিটিভি